অভিষেকের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলেও দেবের গ্রামে এগিয়ে বিজেপি

কেশপুরের মহিষদা। এই মহিষদাতেই দেবের আদি বাড়ি। এবার কেশপুর বিধানসভা থেকে এক লক্ষ ভোটের লিড চেয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। তবে দেবের গ্রামের মহিষদা ১৮৩ নম্বর বুথে বিজেপি এগিয়ে।

মহিষদার ১৮৩ নম্বর বুথে ভোট পড়েছে ৬০৮টি। বিজেপি পেয়েছে ৩৩৯টি (৫৫.৭৫ শতাংশ), তৃণমূল ২০৮টি (৩৪.২১ শতাংশ)। বাম পেয়েছে ৩৬টি ভোট, নোটায় ন’টি। এখানকার অন্য দু’টি বুথে অবশ্য তৃণমূল এগিয়ে। ১৮০ নম্বর বুথে তৃণমূল পেয়েছে ৪১৬টি, বিজেপি ৩৪৪টি। ১৮১ নম্বর বুথে তৃণমূল পেয়েছে ৫৩৪টি, বিজেপি ২০৫টি।

দীপক অধিকারী ওরফে দেব তৃতীয়বার ঘাটাল কেন্দ্র থেকে সাংসদ হলেন। কোনও বারেই নিজের গ্রামের বুথে লিড পাননি তিনি। কেশপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা তথ্য মন্ত্রী শিউলি সাহা বলেন, ‘ঘরের ছেলেকে মান্যতা দেয়নি ওরা। উন্নয়ন কিছু কম হয়নি সেখানে।’ শিউলির দাবি, ‘বামের ভোট রামে গিয়েছে। তাই তৃণমূল পিছিয়ে পড়েছে।’

আরও পড়ুন। অসুস্থতার জন্য তৃণমূল থেকে ‘সাময়িক বিরতি’ অভিষেকের, আশা রাখছেন মমতার সরকারের উপর

জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তন্ময় ঘোষ বলছেন, ‘মানুষ বিজেপিকে চেয়েছে। তাই মহিষদার বুথে আমরা এগিয়ে আছি। সুষ্ঠু ভোট হলে কেশপুরের সব বুথেই তৃণমূল পিছিয়ে থাকত।’ ঘাটালের বাম প্রার্থী তপন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের লড়াই তৃণমূল এবং বিজেপি- দু’দলের বিরুদ্ধেই।’

২০১৪ এবং ২০১৯ সালে দেব গ্রামের বাড়িতে এসে প্রচার শুরু করেছিলেন। এবারে প্রচারের শেষ পর্বে এসেছিলেন তিনি। বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ও মহিষদায় প্রচারে গিয়েছিলেন। হিরণ বলেন, “অভিনেতা-সাংসদ দশ বছরে কী করেছেন? উনি নিজের গ্রামের জন্য কোনো স্কুল বানিয়েছেন?”

ভোটের দিন কেশপুরে হিরণ বারবার বাধার মুখে পড়েছিলেন। বিজেপি ভোট লুটের অভিযোগ তুলেছিল। কেশপুরে ২৮২টি বুথের মধ্যে ৩০টিরও বেশি বুথে বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা এক থেকে ন’টি। একটি বুথে বিজেপির প্রাপ্ত ভোট শূন্য ছিল। অভিষেকের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে কেশপুর থেকে এক লক্ষ তিন হাজার ভোটের লিড পেয়েছিলেন তৃণমূল। তবু নিজের এলাকায় ‘গেঁয়ো যোগী’ হয়ে রইলেই দেব। ভোট বেশি পেল বিজেপিই।