যুক্তরাষ্ট্র ভয় ধরালেও সূর্যের ফিফটিতে সুপার এইটে ভারত

সৌরভ নেত্রাভালকার ক্যাচ ফেলে ২২ রানে সূর্যকুমার যাদবকে জীবন দিলেন। তারপর ইনিংসে তিনবার নতুন ওভার শুরু করতে ৬০ সেকেন্ডের বেশি সময় নেওয়ার শাস্তি পায় যুক্তরাষ্ট্র, ৫ রান যোগ হয় ভারতের স্কোরবোর্ডে। এই দুটি মুহূর্ত তাদের মোমেন্টাম কেড়ে নেয়। নয়তো ভারতকে ভালোই ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল স্বাগতিকরা। জীবন পাওয়া সূর্যের হাফ সেঞ্চুরিতে ১০ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতেছে ভারত। সাত উইকেটে যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়েছে তারা, টানা তিন ম্যাচ জিতে ‘এ’ গ্রুপ থেকে সুপার এইটও নিশ্চিত হলো তাদের।

নিউইয়র্কের নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পরে ব্যাট করতে নেমে বেশ চাপে পড়েছিল ভারত। আমেরিকার বোলারদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে ইনিংসের ৬ ওভার বাকি থাকতে ভারতের আস্কিং রেট বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় আটে! সূর্যের জীবন পাওয়ার পরই তারা ঘুরে দাঁড়ায়। শ্যাডলি ফন শ্যালকউইকের বলে ভারতীয় ব্যাটারের পেন্ডুলাম ড্রাইভ শট অনেক উঁচুতে উঠেছিল। শর্ট থার্ড ম্যান অঞ্চল থেকে সরে গিয়ে বলের গতি বুঝে হাত বাড়ান নেত্রাভালকার। কিন্তু তার আঙুল ছুঁয়ে বল মাটিতে পড়ে যায়।

পরের ওভারে আলী খানের শেষ বলে সূর্য চার মেরে গ্যালারি মাতান। তারপর আর ভারতকে ব্যাকফুটে ফেলতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। ১৫ ওভার শেষে স্বাগতিকদের পেনাল্টির কারণে ৫ রান পায় ভারত। ১৭তম ওভারে শ্যালকউইককে টানা ছয়-চার মেরে ম্যাচ হাতের মুঠোয় নেন সূর্য। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে ৪৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি উদযাপন করেন তিনি। শিবম দুবে দ্বিতীয় বলে ডাবলস নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন। ৩৫ বলে ৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।

অথচ ভারত ১১১ রানের লক্ষ্যে নেমে শুরুতে বড় ধাক্কা খায়। ওপেনিংয়ে নেমে টানা তিন ম্যাচ ব্যর্থ বিরাট কোহলি। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে নেত্রাভালকার তাকে আন্দ্রিয়েস গাওসের ক্যাচ বানান। টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় ও বিশ্বকাপে প্রথমবার ডাক মারেন ভারতীয় ব্যাটার। 

ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলা নেত্রাভালকার তার পরের ওভারে রোহিত শর্মাকে (৩) ফেরান। পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেটে ৩৩ রান করে ভারত।

রিশাভ পান্ত ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২০ বলে ১৮ রানে তাকে বোল্ড করেন আলী। ১০ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৪৭ রান বলে দিচ্ছিল, ভারত কতটা চাপে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেনি আমেরিকা। ১৮.২ ওভারে ৩ উইকেটে ১১১ রান করে ভারত। নিউইয়র্কে রেকর্ড রান তাড়া করে সফল হলো তারা।   

এর আগে আর্শদীপ সিং দুর্দান্ত বোলিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ১১০ রানে থামায় ভারত। চার ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন ভারতীয় পেসার।

টানা দুই জয়ের পর এই হারে যুক্তরাষ্ট্রের নেট রান রেট নেমে গেছে পাকিস্তানের নীচে। যদিও তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে তারা। পরের ম্যাচে তারা খেলবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। ওই ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি করলে বা জিতে গেলে সুপার এইটের টিকিট পাবে আমেরিকা। তবে কোনও পয়েন্ট তারা না পেলে নেট রান রেটের হিসাবনিকাশে যেতে হবে।