Central forces in Schools: ভোট মিটলেও কলকাতার বহু স্কুলে রয়েছে বাহিনী, পঠনপাঠনে সমস্যা, অনলাইন ক্লাসের নির্দেশ

ভোট প্রক্রিয়া মিটে গিয়েছে গত ৪ জুন। তারপরে মন্ত্রিসভাও গঠন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, এখনও একাধিক স্কুলে ক্লাস সম্ভব হচ্ছে না। গরমের পরেও বন্ধ রয়েছে অফলাইনে ক্লাস। কারণ সেই সমস্ত স্কুলে এখনও পর্যন্ত রয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই অবস্থায় পড়ুয়াদের পঠন-পাঠন শেষ করা নিয়ে তীব্র দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আইনজীবীরা। তবে শুধু স্কুলই নয়, সেই তালিকায় রয়েছে বেশ কিছু কলেজও। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনী কবে সরানো হবে তার উত্তর দিতে পারেনি স্কুল শিক্ষা দফতর।

আরও পড়ুন: ভোটগণনার পরও বাংলায় মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী, কতদিন রাখবে নির্বাচন কমিশন?‌

যাদবপুরের নবকৃষ্ণ পাল আদর্শ শিক্ষায়তন, যোধপুর পার্ক বয়েজ় স্কুল, নিউ আলিপুর মাল্টিপারপাস স্কুল, নিউ আলিপুর কলেজে এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। যার ফলে এই সমস্ত স্কুল কলেজে পড়ুয়াদের পঠন-পাঠন ঠিকমতো করা সম্ভব হচ্ছে না।  আলিপুর কলেজের অধ্যক্ষ জয়দীপ ষড়ঙ্গী জানান, অধ্যক্ষের ঘর, অফিস, ল্যাবরেটরি ছাড়া বাকি সমস্ত অংশই কেন্দ্রীয় বাহিনী দখল করে রেখেছে। ফলে কোনওভাবেই পড়ুয়াদের ক্লাস কলেজে করানো যাচ্ছে না। তার ওপর আবার ষষ্ঠ সিমেস্টারের ফর্ম ফিলাপেও অসুবিধা হচ্ছে। এই অবস্থায় অনলাইনে ক্লাস করানো হচ্ছে। তবে সবক্ষেত্রে অনলাইনে ক্লাস সম্ভব নয় বলে তিনি জানান।

এদিকে, যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুল খুলেছে সোমবার থেকে। কিন্তু, কেন্দ্রীয় বাহিনী পুরো স্কুল দখল করে থাকায় পড়ুয়ারা স্কুলে আসতে পারছে না। শিক্ষকদের বক্তব্য, স্কুলের অফিস ঘর থেকে শুরু করে ক্লাসরুম সর্বত্রই দখল করে দেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। শুধু তা নয়, ক্লাসরুমে দিনরাত ফ্যান চলছে, লাইট জ্বলছে। তাতে এত বিল মেটানো নিয়েও দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন শিক্ষকেরা। আবার তাদের অভিযোগ, সারাদিন পাম্প চালিয়ে রাখার ফলে দুটি পাম্পের কয়েল পর্যন্ত পুড়ে গিয়েছে।

যাদবপুরের নবকৃষ্ণ পাল আদর্শ শিক্ষায়তনের অবস্থাও এক। সেক্ষেত্রে অনলাইনে পড়ুয়াদের ক্লাস করানো হচ্ছে। তবে অফলাইনের মতো ভালো ক্লাস অনলাইনে সম্ভব নয় বলেই দাবি শিক্ষকদে একই অবস্থা উপরের অন্যান্য স্কুলগুলিতেও।

এদিকে, কবে স্কুল থেকে কেন্দ্র বাহিনী যাবে সে বিষয়ে আশার বাণী শোনাতে পারেনি স্কুল শিক্ষা দফতর। আধিকারিকদের বক্তব্য, ভোট পরবর্তী হিংসার জন্য কেন্দ্র বাহিনী রাখা হয়েছিল। তারা কবে যাবে তা নির্বাচন কমিশনই বলতে পারব। তবে যতদিন না যাচ্ছে ততদিন অনলাইনে ক্লাস করাতে বলা হয়েছে।