Firhad Hakim: লোকসভায় উত্তরবঙ্গে খারাপ ফলের জন্য কার্যত কর্মীদের দায়ী করলেন ফিরহাদ

সদ্য সমাপ্ত হওয়া লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। গতবারের থেকে রাজ্যে পদ্ম শিবিরের আসন এবার অনেকটাই কমেছে। তবে রাজ্যে সবুজ ঝড় দেখা গেলেও উত্তরবঙ্গের সেভাবে দাঁত ফোটাতে পারেনি তৃণমূল। সেখানে শুধু নিশীথ প্রামাণিককে পরাজিত করলেও উত্তরবঙ্গের বাকি আসনগুলি বিজেপির হাতেই রয়েছে। এই অবস্থায় উত্তরবঙ্গে ঠিকমতো ভোট না পাওয়ার জন্য সংগঠনের খামতিকেই দায়ী করলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। উত্তরবঙ্গে আগে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন সাংসদ অরূপ বিশ্বাস। তবে তিনি জয়ী হওয়ার পরেই সেই দায়িত্ব পেয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। দায়িত্ব পেয়েই তিনি জানান, উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতা ও কর্মীদের রাজনীতির পাঠ শেখানোর ব্যবস্থা করা হবে। 

আরও পড়ুন: কলকাতার ভোটে যাচাই হবে কাউন্সিলরদের দক্ষতা, নজর রাখবেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম

ফিরহাদ জানান, উত্তরবঙ্গের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চান। তবে দলের কিছু নেতা কর্মীদের পাঠ শেখানো প্রয়োজন রয়েছে। তাদের রাজনীতি থেকে শুরু করে আচার, ব্যবহারের সবটাই শেখাতে হবে। তিনি আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাপারে উত্তরবঙ্গের মানুষের কাছে খোঁজ নিয়েছেন তিনি। সকলেই মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। কিন্তু, ভোট ব্যাঙ্কে সেটা ঠিকমতো প্রতিফলিত হচ্ছে না। তিনি মনে করেন, উত্তরবঙ্গে সংগঠনের কাজে পদ্ধতিগত সমস্যা রয়েছে। তাই সেখানকার তৃণমূলের নেতা কর্মীদের জন্য কর্মশালার ব্যবস্থা করতে হবে এবং জনসংযোগ শিখতে হবে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ। 

উত্তরবঙ্গে তৃণমূল সেভাবে সফল না হলেও ফিরহাদ দাবি করেছেন, এবার সেখানে তৃণমূলের ভোট অনেকটা বেড়েছে। তিনি যান, একটা সময় ছিল যখন পাহাড়ে আন্দোলনের কারণে তৃণমূল ভোট কম ছিল। তবে এখন সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। কারণ কেন্দ্র কোনও কিছু সাহায্য করে না, যা করে রাজ্য। তবে একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখানে আরও ভালো ফল করা যেত। তবে সংগঠনের কিছু সমস্যা রয়েছে। সাংগঠনিক সমস্যা থাকার ফলে মমতার প্রতি মানুষের যে আস্থা তা ঠিকমতো ভোটব্যাঙ্কে প্রতিফলিত হচ্ছে না। তবে সংগঠনের নেতৃত্বের কোনও বদল হবে না বলে তিনি স্পষ্ট করেছেন।

জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গের সংগঠনের দ্বায়িত্ব পেয়েই মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে যান ফিরহাদ হাকিম। দলীয় সুত্রে খবর, রবিবার কলকাতা থেকে সস্ত্রীক আলিপুরদুয়ার পৌঁছন ফিরহাদ হাকিম। সেখানেই দুদিন কাটিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে শিলিগুড়ির সন্নিকটে একটি বেসরকারি হোটেলে পৌঁছন তিনি। সেখানেই শিলিগুড়ি সহ প্বার্শবর্তী এলাকার তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। সেই বৈঠকে জলপাইগুড়ি জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি, দার্জিলিংয়ের সভাপতি সহ, পুরনিগমের চেয়ারম্যান, মেয়র, ডেপুটি মেয়র সহ মেয়র পারিষদ ও তৃণমূলের সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।