Mamata Banerjee: নবান্নের খবর পাচার হচ্ছে, টাকা তুলছে পুলিশ, যাচ্ছে কাঁথিতে…বিরাট সন্দেহ মমতার

তিনি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আবার পুলিশমন্ত্রীও। তবে নবান্নর সভাঘরের প্রশাসনিক মিটিং থেকে নাম না করে তিনি নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারীকে। সূত্রের খবর, রাজ্য় পুলিশের কর্তাদের দিকে মুখ্য়মন্ত্রী বলেছেন, ওভারলোডেড ট্রাক থেকে পুলিশ টাকা তুলছে। সেই টাকা সরাসরি চলে যাচ্ছে কাঁথিতে। রাজ্য প্রশাসনের কাছে এনিয়ে তথ্য রয়েছে। প্রয়োজনে এই সবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার। 

মমতার সন্দেহ, অনেক অফিসার দুকূল বাঁচিয়ে চলছেন। নবান্নের খবর পাচার হচ্ছে। নবান্নের নানা নির্দেশিকা, ফাইল বাইরে চলে যাচ্ছে। আরও তিন-চারটি আসন পাওয়া যেত প্রশাসন সক্রিয় থাকলে,  জানিয়েছেন মমতা। খবর সূত্রের। 

এবার  তমলুকে মুখ পুড়েছে তৃণমূলের। এর আগে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ফের তিনি নাম না করে সেই শুভেন্দু অধিকারীকেই নিশানা করলেন। 

এদিকে সন্দেশখালি প্রসঙ্গেও মুখ্যমন্ত্রী ওই মিটিংয়ে পুলিশের গোয়েন্দা সোর্স নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এদিকে মুখ্য়মন্ত্রীর কাছে বকাঝকা খেয়ে রীতিমতো অস্বস্তিতে পুলিশকর্তাদের একাংশ। তবে নির্দিষ্টভাবে কোনও বক্তব্য মেলেনি। 

তবে সূত্রের খবর, মূলত সন্দেশখালির এই যে এত বড় ঘটনা তা নিয়ে কেন গোয়েন্দা রিপোর্ট যথাযথ ছিল না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্য়মন্ত্রী। সন্দেশখালিতে যে একটা চক্রান্ত চলেছে তা নিয়ে আগেই বলেছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। কিন্তু সেই চক্রান্তের খবর কেন রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দাদের কাছে আগাম ছিল না সেটা নিয়েও এবার প্রশ্ন তুললেন খোদ মুখ্য়মন্ত্রী। 

এদিকে এবারের ভোটের অন্যতম বড় ইস্যু ছিল ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান। এমনকী এনিয়ে নানা প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল। এরপর ঘাটাল থেকে জিতে গিয়েছেন দেব। কিন্তু গরম গেলেই তো আসবে বর্ষা। আর বর্ষা মানেই ভোগান্তির একশেষ ঘাটালে। আবার ভাসতে পারে ঘাটাল। তবে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে যাতে কোনও গাফিলতি না থাকে সেটা দেখার জন্য বলেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। 

অন্যদিকে ওই মিটিংয়ে আবাস যোজনার প্রসঙ্গও ওঠে। কেন্দ্রীয় সরকার আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছে যে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য়ের গরিব মানুষের সঙ্গে বঞ্চনা করছে। এই বঞ্চনা থেকে গরিব মানুষকে মুক্তি দেওয়ার জন্য় নানা পরিকল্পনার কথা ভাবছে সরকার।  খোদ মুখ্য়মন্ত্রী রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বাড়ি তৈরি করার কথা কথা জানিয়েছিলেন। এবার সেই আবাস যোজনার প্রকল্পে কারা কারা বাড়ি পেতে পারেন তা নিয়ে জেলায় জেলায় নতুন করে সমীক্ষা করার কথা জানানো হয়েছে।