বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান সংস্থা Apple, ব্র্যান্ড মূল্য ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি! কোথায় হারাল Microsoft

ব্র্যান্ড মূল্যে ১ ট্রিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে, বিশ্বের প্রথম কোম্পানি হয়ে উঠেছে অ্যাপল। যা আগের বছরের তুলনায় ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, কান্তরের ব্র্যান্ডজ গ্লোবাল র্যাকিংয়ে এমনটাই দেখা গিয়েছে। এদিকে, অ্যাপল ও মাইক্রোসফ্ট, বিশ্বের এক নম্বর প্রযুক্তি কোম্পানি হতে চায় দুজনেই। তাই অ্যাপল ও মাইক্রোসফটের মধ্যে ক্রমাগত লড়াই চলছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি হওয়ার দৌড়ে অ্যাপলকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছিল মাইক্রোসফট। আবার, অ্যাপল বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি হয়ে উঠেছে, আর মাইক্রোসফ্টকে শীর্ষ অবস্থান থেকে এক ধাক্কায় সরিয়ে দিয়েছে। আইফোন প্রস্তুতকারক সংস্থা অ্যাপল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি নিয়ে খুব সক্রিয়। আর বর্তমান টেক বাজারও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দিকেই ঝুঁকছে।

ব্র্যান্ড মূল্যের দিক থেকে কত নম্বরে মাইক্রোসফ্ট

অ্যাপলের পরে, অ্যালফাবেটের গুগল ৭৫৩ বিলিয়ন ডলার নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এবং মাইক্রোসফ্ট ৭১৩ বিলিয়ন ডলার নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

সর্বোচ্চ বাজারমূল্য ধরে রাখার দৌড়ে কতটা এগিয়ে অ্যাপল

অ্যাপলের শেয়ারের দাম বেশ খানিকটা বেড়েছে। এর শেয়ারগুলি প্রায় চার শতাংশ লাফিয়ে একটি রেকর্ড ২১৫.০৪ মার্কিন ডলারে পৌঁছে পৌঁছে গিয়েছে, এরপর এখন কোম্পানির বাজারমূল্য দাঁড়িয়েছে ৩.২৫ ট্রিলিয়ন ডলারে। সেই তুলনায়, মাইক্রোসফটের বাজার মূলধন এথন ৩.২৪ ট্রিলিয়ন ডলার। পাঁচ মাসের মধ্যে এই প্রথম অ্যাপল থেকে পিছিয়ে পড়েছে সংস্থাটি। অন্যদিকে অ্যাপল কোম্পানির শেয়ার বৃদ্ধির কারণও বলা হচ্ছে মূল্যস্ফীতির অভাব। এসব সংকেতের কারণে কোম্পানিটির শেয়ার রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে।

আরও পড়ুন: (Sundar Pichai: প্রায় এক বছরের বেতন দিয়ে ছেলের আমেরিকার টিকিট কেটেছিলেন বাবা! আজ সেই ছেলে গুগলের সিইও)

উল্লেখ্য, অ্যাপলের শেয়ার গত সেশনে সাত শতাংশেরও বেশি বেড়েছিল। মাত্র একদিন আগেই কোম্পানিটি তার আইওএস ১৮ এর ডিভাইসগুলির জন্য এআই- বৈশিষ্ট্যগুলি চালু করেছিল। বলা হচ্ছে যে এটি কোম্পানির এমনই একটি পদক্ষেপ ছিল যা বিশ্ব বাজারে ব্যাপক সুপ্রভাব ফেলেছে। অনেক বিশ্লেষকও বলছেন যে এটি আইফোনের বিক্রয়কে নেক্সট লেভেল পর্যন্ত বাড়িয়ে নিয়ে যাবে।

কান্তরের শীর্ষ দশে এই দুই নামি কোম্পানি

যদিও মাইক্রোসফ্ট এনভিডিয়াও তার ৩.০৬ ট্রিলিয়ন ডলার হাতে কোনও অংশে কম যায় না। নিজের এআই চিপগুলির জন্য পরিচিত এনভিডিয়াও, তার মূল্যের একটি উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখেছে, প্রথমবারের মতো কান্তারের শীর্ষ ১০ মূল্যবান ব্র্যান্ডের তালিকায় ষষ্ঠ তম স্থানে প্রবেশ করেছে৷ চিপমেকারের ব্র্যান্ডের মূল্য প্রায় তিনগুণ বেড়েছে, যা ২০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। এআই এবং চিপসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা, তার সঙ্গে এআই বিপ্লবে এনভিডিয়া-এর উল্লেখযোগ্য ভূমিকার কারণে এই উত্থান ঘটছে। অন্যদিকে ওরাকলও কান্তারের শীর্ষ ১০-এ নবম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে। এর ৫৮ শতাংশের ব্র্যান্ড মূল্য ১৪৫ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি দেখেছে।

অ্যাপলের দুর্দান্ত সমস্ত অত্যাধুনিক বৈশিষ্ট্য

সোমবার অ্যাপলের একটি বার্ষিক সম্মেলনে, সিইও টিম কুক সহ নির্বাহীরা ব্যাখ্যা করেছেন যে কীভাবে ভয়েস এসিস্ট্যান্ট সিরি মেসেজ, ইমেল, ক্যালেন্ডারের পাশাপাশি তৃতীয় পক্ষের অ্যাপগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হবে। কোম্পানি আইওএস ১৮-এ অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স-এর একটি দুর্দান্ত বৈশিষ্ট্য যুক্ত করেছে, যা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং প্রয়োজনীয়তা অভিজ্ঞতা প্রদানের লক্ষ্যে জেনারেটিভ মডেল ব্যবহার করবে। কোম্পানি আইওএস ১৮ এ নতুন গোপনীয়তা বৈশিষ্ট্যও চালু করেছে, যাতে ব্যবহারকারী নিজের ডিভাইসটিকে হ্যাকারদের থেকে নিরাপদে রাখতে পারেন। এমনকি সংস্থাটি এখন অ্যাপ লক এবং হাইড সুবিধাও দিয়েছে। হ্যান্ডসেটে এই নতুন আপডেটের পরে, ব্যবহারকারীরা ফেস আইডি, টাচ আইডি বা পাসকোড দিয়ে যে কোনও প্রয়োজনীয় অ্যাপ লক করতে পারবেন।