Domjur robbery: ডোমজুড়ে ডাকাতিতে বিহারের সুবোধ গ্যাং! প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে দাবি পুলিশের

সোনার দোকানে বন্দুক দেখিয়ে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে ডোমজুড়ে। ঘটনার দুদিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও এখনও পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে ডোমজুড়ের ব্যবসায়িক মহলে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে না পারলেও প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, বিহারের গ্যাং এই ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। সম্প্রতি রানিগঞ্জ থেকে শুরু করে বাংলার একাধিক জায়গায় সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। তাতে এই বিহারের গ্যাং জড়িত থেকেছে। যদিও বিহারে এই ধরনের একাধিক গ্যাং রয়েছে। প্রাথমিকভাবে, ডাকাতির ধরন এবং অন্যান্য তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে পুলিশের অনুমান বিহারের জেল বন্দি সুবোধ সিংয়ের গ্যাং এই ডাকাতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে পারে। 

আরও পড়ুন: ক্রেতা সেজে সোনার দোকানে ডাকাতি, ডোমজুড়ে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে লুটপাট এক কোটি

দুষ্কৃতীরা ডাকাতির পরে দুটি বাইকে করে পালিয়ে যায়। ইতিমধ্যেই তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, দুষ্কৃতীরা যে দুটি বাইকে চড়ে পালিয়েছিল সেগুলির নম্বর প্লেটের সূত্র ধরে তদন্তকারীরা জানতে পারছেন, বেশ কয়েকবার হাতবদল হয়েছে। কে বা কারা দুষ্কৃতীদের বাইক সরবরাহ করেছে তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাছাড়া, অভিযুক্তদের ছবিও বিহার পুলিশের কাছে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, রানিগঞ্জে সোনার দোকানে ডাকাতিতে ধরা পড়েছে সিওয়ান গ্যাংয়ের সদস্যরা। তাদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। 

ডোমজুড়ে সোনার দোকানে ভয়াবহ সেই ডাকাতির ঘটনায় সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছিল, এক জনের মাথায় ছিল হেলমেট। এছাড়া, একজনের মাথায় ছিল টুপি। আর দুজনের মুখ পুরোপুরি দেখা যাচ্ছিল। আর তাতেই সন্দেহ হচ্ছে তদন্তকারীদের। কারণ স্থানীয় কোনও দুষ্কৃতীদল লুটপাট চালালে তারা নিশ্চয়ই মুখ ঢেকে থাকত। কিন্তু, এক্ষেত্রে মুখ ঢাকা না থাকায় তারা যে ভিনরাজ্যের সে বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত পুলিশ। তাছাড়া, ডাকাতির ধরণ বলছে সুবোধ গ্যাংই মূলত হাইওয়ের কাছাকাছি কোনও জায়গাকে ডাকাতির জন্য বেছে নেয়।

তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ভিন রাজ্যের গ্যাং হলেও সেখানকার অলিগলি অর্থাৎ ভূগোল সম্পর্কে ভালো করেই তাদের জানা ছিল। আর এনিয়ে হোমওয়ার্কেই তাদের সাফল্য মিলেছে। তারা এমনভাবে ডাকাতি করে যে আশেপাশের কেউ টেরই পায়নি। লুটের সামগ্রী ব্যাগ ভর্তি করার পর তারা বাইকে করে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, হাওড়া- আমতা রোড হয়ে তারা হাইওয়েতে পৌঁছেছিল। স্থানীয়দের একাংশ জানাচ্ছেন, দোকানের কিছুটা কাছেই একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকছিল চারজন যুবক। তবে সম্প্রতি তারা সেটি ছেড়ে দিয়েছিল। তাহলে ডাকাতির জন্য তারাই ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিল তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার কোনও গ্রেফতার না হওয়ায় আতঙ্ক করছে না ব্যবসায়ীদের মধ্যে। নিরাপত্তার দাবিতে আজ তারা ডোমজুড়ে মিছিল করেন।