Brahmos scientist: ৮০টি মিসাইল সরবরাহের সঙ্গে জড়িত ছিলেন চরবৃত্তির দায়ে দোষী সাব্যস্ত বিজ্ঞানী

পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের হয়ে চরবৃত্তির দায়ে সম্প্রতি ব্রহ্মস এরোস্পেস সংস্থার প্রাক্তন বিজ্ঞানী নিশান্ত আগরওয়ালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। ব্রহ্মস সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাক গুপ্তচর সংস্থার কাছে ফাঁস করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই নিম্ন আদালতের সেই রায়ের বিরুদ্ধে বোম্বে হাইকোর্টের নাগরপুর বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই বিজ্ঞানী। তবে এরই মধ্যে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে নিশান্তের বিরুদ্ধে। জানা যাচ্ছে, তিনি ৪ বছর ধরে সেখানে কাজ করেছিলেন। সেই সময়ের মধ্যে সেনাবাহিনীকে ৮০টি মতো ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছিল। আর সেগুলি সরবরাহের সঙ্গে জড়িত ছিলেন নিশান্ত। আরও জানা যাচ্ছে, সেই সমস্ত ক্ষেপণাস্ত্রের গ্রাহক এবং যেখানে সরবরাহ করা হয়েছে সেই সংক্রান্ত তথ্য জানতেন তিনি। এখন বাহিনীর কাছে যাওয়া সেই সমস্ত ক্ষেপণাস্ত্রের তথ্য পাক সংস্থার কাছে রয়েছে কি না তা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে প্রতিরক্ষা মহলে।

আরও পড়ুন: নেভির জন্য আরও ব্রহ্মস মিসাইল, ১৭০০ কোটির চুক্তি করল প্রতিরক্ষা দফতর

ব্রাহ্মস অ্যারোস্পেস প্রাইভেট লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার তথা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল অচ্যুত দেও এই মামলায় আদালতে সাক্ষী দিয়েছিলেন। তাতেই তিনি এই কথা জানিয়েছেন বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি আদালতকে বলেছিলেন, যে নিশান্তের অফিসের কম্পিউটার থেকে তথ্য পাঠানো বা অপব্যবহার করার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে তার ল্যাপটপ থেকে কিছু তথ্য উদ্ধার হয়েছে। যদিও ব্যক্তিগত কম্পিউটার বা ল্যাপটপে বিভাগীয় তথ্য রাখার কোনও নির্দেশ ছিল না। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে নিশান্তকে তরুণ বিজ্ঞানী পুরস্কারের জন্যও সুপারিশ করা হয়েছিল। তারপরেই এই বিষয়টি সামনে এসে।

জানা যাচ্ছে, নিশান্ত ব্রাহ্মস এয়ারোস্পেস সংস্থার ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্রে প্রযুক্তিগত গবেষণা বিভাগে বিজ্ঞানী ছিলেন। তবে ২০১৮ সালে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের এটিএস (সন্ত্রাসদমন শাখা) এবং সেনবাহিনীর গুপ্তচর বিভাগ যৌথ অভিযান চালিয়ে টাকা গ্রেফতার করে। তখনই আইএসআইয়ের কাছে গোপন তথ্য ফাঁসের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। 

উল্লেখ্য, ব্রাহ্মস এয়ারোস্পেস হল ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) এবং রাশিয়ার মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কনসর্টিয়ামের যৌথ প্রকল্প। সেই মামলায় আগে বম্বে হাইকোর্ট তাকে জামিন দিলেও গত সপ্তাহে সেই মামলায় রায় দেয় নিম্ন আদালত। যদিও নিশান্তের স্ত্রীর বিরুদ্ধে দেশবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার কোনও প্রমাণ মেলেনি।