IIT Kharagpur: আইআইটি খড়গপুরের ডেপুটি ডিরেক্টর পদে প্রথমবার কোনও মহিলা, জেনে নিন পরিচয়

আইআইটি খড়গপুরের নতুন ডেপুটি ডিরেক্টর হলেন রিন্টু বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শুধু আইআইটি খড়গপুরেরই নন, সারা দেশে এমনকী বিশ্বের আইআইটিগুলির মধ্যে তিনিই প্রথম মহিলা যিনি এই ধরনের প্রতিষ্ঠানে ডেপুটি ডিরেক্টরের দায়িত্ব পেলেন। আইআইটি খড়গপুরের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে রিন্টু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেপুটি ডিরেক্টর নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। অধ্যাপক রিন্টু বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন পিকে সিনহা সেন্টার ফর বায়ো এনার্জি অ্যান্ড রিনিউএবলের চেয়ারপার্সন এবং প্রতিষ্ঠাতা প্রধান। পাশাপাশি, তিনি প্রায় ৩ বছর ধরে গ্রামীণ উন্নয়ন, উদ্ভাবনী ও টেকসই প্রযুক্তি কেন্দ্রের প্রধান। এছাড়াও আইআইটি খড়গপুরের কৃষি ও খাদ্য প্রকৌশল বিভাগের প্রধান হিসেবেও কাজ করেছেন।

আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসের মদ্যপান, বাইরে অশান্তি করলেই আইআইটি খড়্গপুরের মোটা অঙ্কের জরিমানা

কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থেকেছেন। যার মধ্যে রয়েছে সেন্টার অফ এক্সিলেন্স ইন প্রেসিশন এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড নিউট্রিশনের চেয়ারপার্সন। এই সময়ে তিনি অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের জন্য নোডাল সমন্বয়কারী এবং আরইউ ট্যাগের জন্য সমন্বয়কারী অফিসার হিসেবে কাজ করেছেন। রিন্টু বন্দ্যোপাধ্যায় আইআইটি খড়গপুরের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে মাইক্রোবিয়াল বায়োটেকনোলজিতে পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন। তাঁর কর্মজীবনের শুরু থেকে তিনি শিল্প অ্যাকাডেমির সহযোগিতামূলক গবেষণা কাজে যুক্ত ছিলেন। তাঁর গবেষণার ফলাফল হিসাবে অনেক অবদান রয়েছে শিল্প ও প্রযুক্তিতে।

সম্প্রতি, তিনি সফলভাবে তাঁর ১ জি এবং ২ জি ইথানল প্রযুক্তিকে বাণিজ্যিকীকরণের জন্য শিল্পে রূপান্তর করেছেন। তাঁর উদ্বাবনী দক্ষতা ও আবিষ্কার কেবল ভারতেই নয়, আন্তর্জাতিক মহলেও প্রশংসিত। এছাড়াও, তিনি উদ্ভিদ বায়োটেকনোলজিতে পরিবেশগত জৈবপ্রযুক্তি এবং ওএমআইসিএস-ভিত্তিক পদ্ধতির উপর দুটি বই প্রকাশ করেছেন। জৈব প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের আর্থিক ও বৈজ্ঞানিক জগতে অসামান্য অবদান রয়েছে তাঁর । এর জন্য আইসিএআর-এর অসামান্য মহিলা বিজ্ঞানী হিসেবে তিনি পাঞ্জাবরাও দেশমুখ পুরস্কারেও  ভূষিত হয়েছেন। ভারতের বায়োটেক রিসার্চ সোসাইটি তাঁকে ‘সেরা মহিলা জীববিজ্ঞানী’ হিসেবে পুরস্কৃত করেছে। অ্যাসোসিয়েশন ফর ফুড সায়েন্টিস্ট অ্যান্ড টেকনোলজিস্ট (ভারত) থেকে তিনি ইয়ং সায়েন্টিস্ট পুরস্কার, লুই পাস্তুর পুরস্কার, মদন মোহন মালব্য পুরস্কার এবং রফি আহমেদ কিদওয়াই পুরস্কারও পেয়েছেন।

অন্যদিকে, তিনি জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, ফিনল্যান্ড, মিশর, অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তাইওয়ান , জাপান, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া, লাওস, থাইল্যান্ড, দুবাই, দোহা, ব্রাজিল প্রভৃতি দেশে বৈজ্ঞানিক সহযোগিতার জন্য ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে সফর করেছেন। 

অধ্যাপক বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘দেশের প্রাচীন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি ডিরেক্টর হতে পেরে আমি গর্বিত ও সম্মানিত। স্বল্প ব্যয়ে শক্তিশালী ও উন্নত প্রযুক্তির আবিষ্কারের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে আইআইটি খড়গপুরের অসামান্য অবদান তুলে ধরব।’