Ivory idol: হাতির দাঁতের মূর্তি বিক্রির বিজ্ঞাপন, ক্রেতা সেজে ব্যক্তিকে ধরল WCCB

অন্য কোনও ধাতব বস্তু নয়, একেবারে হাতির দাঁত দিয়ে তৈরি ঝকঝকে মূর্তি। আর সেই মূর্তি বিক্রির জন্য সোশ্যাল মাধ্যমে দেওয়া হয়েছিল বিজ্ঞাপন। সেই সূত্র ধরে ক্রেতা সেজে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো (ডব্লিউসিসিবি)। ধৃতের নাম অমিতাভ পাল। বাগুইআটি বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। তার কাছ থেকে হাতির দাঁতের তৈরি মূর্তি উদ্ধার হয়েছে। এদিকে, এই সামগ্রীগুলি কোথা থেকে নিয়ে আসা হচ্ছিল? এর সঙ্গে বড় কোনও চক্র জড়িত রয়েছে কি না? সবটাই খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা।

 আরও পড়ুন: হাতির দাঁতের মূর্তি হুগলিতে, দাম শুনলে চমকে যাবেন, ধৃত পাচারকারী

ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো সূত্রে জানা গিয়েছে, অমিতাভ পাল বাগুইআটির বাসিন্দা। সম্প্রতি ওই ব্যক্তি সোশ্যাল মাধ্যমে হাতির দাঁতের মূর্তি বিক্রি করার আগ্রহ প্রকাশ করে একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন। সেই বিজ্ঞাপন নজরে আসে ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর আধিকারিকদের। এরপরেই আধিকারিকরা সোশাল মাধ্যম মারফত ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি যাতে কোনওভাবে বিষয়টি বুঝতে না পারেন তার জন্য আধিকারি রা নিজেদের ক্রেতা হিসেবেই পরিচয় দেন। তাঁরা ওই ব্যক্তির কাছে হাতির দাঁতের মূর্তি কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তাতে মোটা অঙ্কের দামও ঠিক হয়েছিল। 

দরদাম ঠিক হতেই মূর্তি হাতবদলের স্থান হিসেবে বাগুইআটি বাসস্ট্যান্ডে আসতে বলা হয় আধিকারিকদের। সেই মতোই সেখানে আগেই পৌঁছে যান ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো ও সেলের কর্তারা। এরপর ব্যক্তি হাতির দাঁতের মূর্তি নিয়ে সেখানে এলেই পরিকল্পনামাফিক তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন আধিকারিকরা।  কোথা থেকে তিনি মূর্তিটি পেয়েছিলেন তার কোনও নথি দেখাতে পারেননি ওই ব্যক্তি। 

ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় তিনি বাগুইআটি এলাকারই বাসিন্দা। তখন ওই ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালান আধিকারিকরা। সেখান থেকে আরও কিছু বহুমূল্য মূর্তি ও সামগ্রী উদ্ধার হয়। তবে সেই সমস্ত সামগ্রীর বৈধ নথিপত্র দেখাতে পারেননি ওই ব্যক্তি। যদিও এই ঘটনা এই প্রথম নয়, এর আগেই একই কায়দায় হাতির দাঁতের তৈরি মূর্তি পাচার রোধ করেছে ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো। এখন ওই ব্যক্তি কোনও পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত কি না আধিকারিকরা তা খতিয়ে দেখছেন।