Murshidabad: তিলক কেটে আসতে বারণ ছাত্রীকে, তীব্র বিক্ষোভের মুখে সুর নরম মুর্শিদাবাদের স্কুলের

কপালে তিলক এবং গলায় কণ্ঠি পরে স্কুল আসতে বারণ করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকালে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার অন্তর্গত রঘুনাথগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় চত্বর। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার বিদ্যালয়ের সামনে খোল, করতাল বাজিয়ে বিক্ষোভ দেখান ইসকনের কয়েকশো সদস্য। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রীকে মাথায় তিলক এবং কণ্ঠি পরে আসার অনুমতি দিলে বিক্ষোভ তুলে নেন ইসকনের সদস্যরা।

আরও পড়ুন – প্রাথমিক দুর্নীতির ৩০ কোটি টাকা ঢুকেছে প্রভাবশালীর কোম্পানিতে, আদালতকে জানাল CBI

পড়তে থাকুন – ‘সন্দেশখালির কালি মুছতে….’ ছবি পোস্ট করে তৃণমূলকে পালটা আক্রমণ মালব্যর

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী অনু মণ্ডলকে এবছর গরমের ছুটি শুরুর আগে ওই স্কুলের কয়েকজন শিক্ষিকা কপালে তিলক এবং কণ্ঠি পরে স্কুলে আসতে বারণ করেন। তাঁদের বক্তব্য, অনুর এই আচরণ স্কুল পোশাক পরে মানানসই নয়। গরমের ছুটির শেষে পারিবারিক প্রথা অনুসরণ করে অনু ফের একইভাবে গলায় কণ্ঠি পরে এবং কপালে তিলক কেটে স্কুলে আসতে শুরু করে ছাত্রীটি। তখন তাঁকে ফের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন – ফ্যাসিবাদের চরম, রাজভবনে ঢুকতে বাধা পেয়ে বললেন শুভেন্দু, স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের

অনু মণ্ডলের কথায় ‘‌স্কুল শিক্ষিকাদের কথা অমান্য করায় এক জন শিক্ষিকা বকাবকি করেন। আমি জানাই তিলক পরে না আসার কথা পরিবারকে জানিয়ে দেওয়া হোক। কিন্তু স্কুলের শিক্ষিকা তা না করে উল্টে ভয় দেখান। এরপর গোটা বিষয়টি বাড়ির লোকদের জানাই।’‌ ছাত্রীটি জানিয়েছেন, ‘স্কুলে নিরামিষ মিড ডে মিলের ব্য়বস্থা না থাকায় মিড ডে মিলও খেতে পারে না সে। 

সূত্রের খবর, এর পরই ছাত্রীর পরিবারের তরফে ইসকনের সন্ন্যাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। শুক্রবার সকালে ইসকনের সদস্যরা স্কুলের সামনে গিয়ে খোল – করতাল বাজিয়ে বিক্ষোভ করেন।

গোবিন্দ দাস নামে এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘‌স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনার পর সমস্যা মিটে গেছে। অনু এবার থেকে নিয়মিতভাবে তিলক কেটে এবং গলায় কণ্ঠি পরে স্কুলে যেতে পারবে।’‌ রঘুনাথগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা করবী নন্দী বলেন, ‘‌ওই ছাত্রী কপালে তিলক কেটে স্কুলে এলে কোনও সমস্যা নেই।’‌