Udayan Guha: হিন্দুরা ঠিক করুক তারা উন্নয়ন চায় না ধর্ম চায়, ৩ পুরসভার টাকা আটকে বললেন উদয়ন

ফের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভোট না দেওয়ায় কোচবিহার পুরসভার জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর এক টাকাও বরাদ্দ করবে না বলে খুল্লামখুল্লা জানালেন দফতরের মন্ত্রী উদয়ন গুহ। মন্ত্রীর এহেন বক্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ।

আরও পড়ুন – প্রাথমিক দুর্নীতির ৩০ কোটি টাকা ঢুকেছে প্রভাবশালীর কোম্পানিতে, আদালতকে জানাল CBI

পড়তে থাকুন – ‘সন্দেশখালির কালি মুছতে….’ ছবি পোস্ট করে তৃণমূলকে পালটা আক্রমণ মালব্যর

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কোচবিহারের মাথাভাঙায় জয়ী তৃণমূল প্রার্থী জগদীশ বর্মা বসুনিয়ার সংবর্ধনা সভা ছিল। সেখানে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, ‘ধর্মীয় কারণে শহরের মানুষ বিজেপিকে ভোট দিচ্ছেন। গতকাল আমি আমার দফতরে গিয়েছিলাম। আমি মাথাভাঙ্গা ১ ব্লকের উন্নয়নের জন্য ৪ কোটি টাকা এবং মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের উন্নয়নের জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলাম। পাশাপাশি মাথাভাঙা, দিনহাটা শহর এবং কোচবিহারে শহরের জন্য যে টাকা বরাদ্দ করেছিলাম সেটা আমি আটকে দিয়েছি। শহরের মানুষকে ঠিক করতে হবে তাঁরা ধর্ম চান না উন্নয়ন চান।’

প্রকাশ্যে মন্ত্রীর এই মন্তব্যে মঞ্চেই অস্বস্তিতে পড়েন তৃণমূল নেতারা। এর পর জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, ‘শহরের ফল কেন খারাপ হচ্ছে সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। গোটা রাজ্যেই পুরসভাগুলিতে তৃণমূল পিছিয়ে। তাই বলে তো উন্নয়ন বন্ধ থাকবে না।’

বলে রাখি, পদ ও গোপনীয়তার শপথ নিয়ে একজন ব্যক্তি মন্ত্রী হন। শপথবাক্যে তাঁকে ‘আমি ভয়, লোভ, দ্বেষ ও পক্ষপাতহীন হয়ে কাজ করব’ বলতে হয়। শপথবাক্য পাঠ করে হওয়া মন্ত্রী কী করে রাজনৈতিক ভেদাভেদ করে এলাকার জন্য বরাদ্দ রুখতে পারেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।

আরও পড়ুন – ফ্যাসিবাদের চরম, রাজভবনে ঢুকতে বাধা পেয়ে বললেন শুভেন্দু, স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের

উদয়নবাবুর মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, ‘আর উদয়নবাবু যেটা বলেছেন সেটা স্বৈরতন্ত্রের নামান্তর। রাজ্যে যে গণতন্ত্র বলে আর অবশিষ্ট কিছু নেই তা ওনার কথায় স্পষ্ট। শপথবাক্য পাঠ করে একজন মন্ত্রী এই কথা বলতে পারেন না। আমরা রাজ্যপালের কাছে উদয়ন গুহর অপসারণের দাবি জানাব। সঙ্গে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরকে আমি এই ভিডিয়ো ক্লিপসহ ব্যক্তিগতভাবে চিঠি দেব।