তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী দিল বামেরা, হাত শিবিরে এল একটি আসন

লোকসভা নির্বাচন মিটে গিয়েছে। যার ফলাফল এখন দাঁড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ২৯, বিজেপি ১২ এবং কংগ্রেস ১। এমনকী গোটা দেশে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। শরিক দলগুলিকে নিয়ে গড়ে উঠেছে এনডিএ সরকার। কিন্তু এই আবহেও এবার বিধানসভা উপনির্বাচনেও কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে লড়াইয়ে নামছে বামফ্রন্ট। আজ, শুক্রবার উপনির্বাচনের তিনটি কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করল বামেরা। কংগ্রেসের জন্য ছেড়েছে একটি আসন। আজ সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করে তৃণমূল কংগ্রেস। আর বিকেলেই বামেদের পক্ষ থেকে প্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়া হল।

এদিকে চার বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে দু’টিতে প্রার্থী দিচ্ছে সিপিএম। একটি আসন দেওয়া হয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লককে। আর একটি আসন কংগ্রেসকে ছাড়া হয়েছে। আজ, শুক্রবার বামফ্রন্টের বৈঠক শেষে কংগ্রেসের জন্য রায়গঞ্জ আসন ছেড়ে রেখে বাকি তিনটি কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করল বামেরা। মানিকতলা থেকে লড়বেন সিপিএমের রাজীব মজুমদার, রানাঘাট দক্ষিণ থেকে লড়বেন সিপিএম প্রার্থী অরিন্দম বিশ্বাস। বাগদায় লড়বেন ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী গৌরদীপ্ত বিশ্বাস। রায়গঞ্জ আসন থেকে প্রার্থী দেবে কংগ্রেস। আগামী ১০ জুলাই রাজ্যের এই চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। কংগ্রেসের প্রার্থী কে হবে সেটা ২১ জুন কংগ্রেসের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে।

আরও পড়ুন:‌ অরুন্ধতী রায়ের বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে মামলা, অনুমতি দিলেন দিল্লির লেফটন্যান্ট গভর্ণর

অন্যদিকে চমক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। উপনির্বাচনে বাগদা বিধানসভা আসনে ঠাকুর পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য মধুপর্ণা ঠাকুরকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মধুপর্ণা রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে। এবার মধুপর্ণার বিরুদ্ধে বাগদা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ফরওয়ার্ড ব্লকের গৌরদীপ্ত বিশ্বাস। মানিকতলায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রয়াত বিধায়ক সাধন পাণ্ডের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডের বিপরীতে সিপিএম প্রার্থী করেছে রাজীব মজুমদারকে। রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে মুকুটমণি অধিকারীর বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সিপিএম প্রার্থী অরিন্দম বিশ্বাস। লোকসভা নির্বাচনেও কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করেই নেমেছিল বামেরা। তবে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী দু’‌জনেই হারেন।

এছাড়া লোকসভা নির্বাচনেও বামেরা শূন্যই রয়েছে। বরং মালদা দক্ষিণ থেকে নির্বাচনে জেতেন কংগ্রেসের ইশা খান চৌধুরী। এবার চার বিধানসভা আসনেও বাম–কংগ্রেস সমঝোতা করে লড়ছেন। রায়গঞ্জ আসনে বিজেপির টিকিটে বিধায়ক ছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। তিনি পরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। এবারের লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর কৃষ্ণ কল্যাণী বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। যদিও তিনি জিততে পারেননি। উপনির্বাচনে আবার কৃষ্ণ কল্যাণীই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। রায়গঞ্জ কংগ্রেসের খুব পুরনো ঘাঁটি প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির জন্য। এখন দেখার এই চার আসনের ফল কোনদিকে যায়।