সাল ২০০৬। রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে কর্নাটকের মুখোমুখি হয়েছিল দিল্লি।
প্রথমে ব্যাট করে কর্নাটক তুলেছিল ৪৪৬ রান। জবাবে দিল্লির ইনিংস ধুঁকছিল ১৪/৩ স্কোরে।
ক্রিজে গেলেন বিরাট কোহলি। দিল্লির হয়ে নিজের চতুর্থ মাত্র ম্যাচ।
তার পরই শিখর ধবন আউট হয়ে যান, দিল্লির স্কোর দাঁড়ায় ২৪/৪। কিছুক্ষণ পরে ৫৯/৫। দিনের শেষে পুনিত বিস্তের সঙ্গে অপরাজিত ছিলেন কোহলি। ৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
১৯ বছরের কোহলির কাঁধেই দলকে উদ্ধার করার দায়িত্ব। কিন্তু রাত তিনটেয় বেজে উঠল কোহলির মোবাইল ফোন। জানানো হল, প্রয়াত হয়েছেন তাঁর বাবা প্রেম কোহলি।
ছেলে ক্রিকেটার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হোক, চেয়েছিলেন প্রেম। তাঁর ইচ্ছাতেই মাত্র ৯ বছর বয়সে ক্রিকেট খেলা শুরু কোহলির।
ম্যাচের তৃতীয় দিন সকালে কোহলির বাবার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা দিল্লি ড্রেসিংরুমে। পরের ব্যাটার চৈতন্য নন্দকে ব্য়াট করতে যাওয়ার জন্য তৈরি হতে বলা হয়।
কিছুক্ষণের মধ্যে সকলকে হতবাক করে দিয়ে ব্যাট করতে নেমে পড়েন কোহলি। ২৮১ মিনিট ক্রিজে কাটিয়ে ২৩৮ বল খেলে ৯০ রান করে আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের শিকার হয়ে ফেরেন কোহলি।
তাঁর জন্যই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল দিল্লি। দিনের খেলা শেষ হওয়ার পর বাবার শেষ কৃত্যে যোগ দিতে যান কোহলি।
টিম স্পিরিটের এক নতুন নজির গড়েন কোহলি। তাঁর যে কাহিনি ভারতে তো বটেই, গোটা বিশ্বের ক্রিকেটারদের কাছে দায়বদ্ধতার উজ্জ্বল নিদর্শন হয়ে রয়েছে। ছবি – পিটিআই
Published at : 15 Jun 2024 07:46 PM (IST)
আরও জানুন ক্রিকেট
আরও দেখুন