TMC fractional clash: জিতেও শান্তি নেই, গদ্দারদের নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে ক্ষোভ জেলায় জেলায়

লোকসভা ভোটে অপ্রত্যাশিত ফল করেও তৃণমূলের অন্দরের কোন্দল থামার নাম নেই। এবার লোকসভা ভোটে দলের কিছু নেতা বেইমানি করেছেন বলে সরব হলেন একের পর এক তৃণমূল প্রার্থী। তাদের মধ্যে পরাজিত প্রার্থীরা তো আছেনই। রয়েছেন জয়ী প্রার্থীরাও। এই ‘গদ্দার’দের বিরুদ্ধে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন – প্রাথমিক দুর্নীতির ৩০ কোটি টাকা ঢুকেছে প্রভাবশালীর কোম্পানিতে, আদালতকে জানাল CBI

পড়তে থাকুন – ‘সন্দেশখালির কালি মুছতে….’ ছবি পোস্ট করে তৃণমূলকে পালটা আক্রমণ মালব্যর

বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে হাজার পাঁচেক ভোটে হেরেছেন তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল। তিনি বলেন, বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ তো নিজেই বলেছেন তাঁর সঙ্গে অনেক তৃণমূল নেতা বোঝাপড়া করে চলেন। এদের মধ্যে কয়েকজন বিধায়কও রয়েছেন। সবাই নিজের স্বার্থ দেখে। এদের নাম দলকে জানাব।

আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে হেরেছেন তৃণমূল প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইক। সেখানেও তৃণমূলের একাংশের বিরুদ্ধে বিজেপির সঙ্গে আঁতাত করে চলার অভিযোগ উঠেছে।

শুধু যে পরাজিত প্রার্থীরাই দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ তা নয়। বাঁকুড়া কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীও একই অভিযোগ করেছেন।

বৃহস্পতিবার সিমলাপালে ‘জনসংযোগ ও শুভেচ্ছা বিনিময়’ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘দুষ্টু গোরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল অনেক ভালো। তাই দুষ্টু কুকুর আমি আর দলে রাখতে চাইনা। একই সঙ্গে দলে থাকা ওই সব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

লোকসভা নির্বাচনে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দী বিজেপির ডাঃ সুভাষ সরকারকে ৩৩ হাজার ভোটে হারিয়ে প্রথমবার সাংসদ হিসেবে দিল্লি যাত্রার ছাড়পত্র আদায় করে নিয়েছেন অরূপ চক্রবর্তী। এরপরেও বাঁকুড়া পৌরসভা, বাঁকুড়া বিধানসভা সহ তাঁর নিজের তালডাংরা বিধানসভা কেন্দ্রের হাড়মাসড়া সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোটের বিচারে বিজেপির চেয়ে পিছিয়ে আছেন তিনি। তাই অরুপ চক্রবর্তীর এই বক্তব্য যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক বলেই অনেকে মনে করছেন।

আরও পড়ুন – ফ্যাসিবাদের চরম, রাজভবনে ঢুকতে বাধা পেয়ে বললেন শুভেন্দু, স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের

পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, রাজ্যের অনুমোদন পাওয়ার পরেই তাড়াবো। যারা তৃণমূলের খাবে, পরবে আর দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে তাদেরকে গড়্যারে (লাথি মেরে) বের করে দেবো। ওই বিশ্বাসঘাতকের তালিকায় একজন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যও আছেন বলে তিনি জানান।