হাসপাতাল ছাড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, বাড়িতেই নেবেন বিশ্রাম, কেমন আছেন এখন?

অস্ত্রোপচার করতে রবিবার সকালে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুরবেলায় তাঁর শরীরে একটি ছোট অস্ত্রোপচার হয়। তারপর রবিবার বিকেলেই অভিষেক হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে পড়েন। সূত্রের খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পেটে অস্ত্রোপচার হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তিনি শারীরিকভাবে স্থিতিশীল আছেন। অভিষেক বেরনোর সময়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। আপাতত অভিষেকের এখন স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এদিকে হাসপাতালের পক্ষ থেকে দেওয়া মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘‌শ্রী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (৩৭) একটি অস্ত্রোপচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। তিনি এখন হেমোডাইনামিকভাবে স্থিতিশীল। আমরা তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’‌ চিকিৎসক আদিশ বসুর নেতৃত্বে একটি স্পেশাল মেডিক্যাল টিম তৈরি করে পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু হয়। বেসরকারি হাসপাতালের পক্ষ থেকে সকালেই জানানো হয়, গুরুতর কিছু নয়। সব ঠিক থাকলে বিকেলেই ছাড়া পেতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতোই আজ, রবিবার বিকেলে ছাড়া পেয়ে গেলেন তিনি। দলের নেতা–কর্মীদেরও উৎকণ্ঠা কাটল।

আরও পড়ুন:‌ রবীন্দ্রনাথের মুখে মাছ তুলে দিলেন উদয়ন, নিশীথকে হারানোর পর পণ ভাঙালেন মন্ত্রী‌

অন্যদিকে কদিন আগেই এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, চিকিৎসার জন্য সংগঠন এবং দল থেকে ‘ছোট বিরতি’ নেবেন। অভিষেক লেখেন, ‘কেন্দ্র–রাজ্য সংঘাতে’ বাংলার মানুষ তাঁদের আবাসের অধিকার থেকে বঞ্চিত। তৃণমূল কংগ্রেস তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সেটা পূরণ করা হবে। তা যাতে নিশ্চিত হয়, সেই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধও করেছেন। এরপর দুপুরে মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করে অস্ত্রোপচারের সাফল্যের কথা জানানো হয় হাসপাতালের পক্ষ থেকে। এমনকী তিনি যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন সেই শুভেচ্ছা বার্তা দেওয়া হয়। বিকেলে অভিষেক হাসপাতাল থেকে ছুটি পান। ফিরে যান নিজের বাড়িতে।

এছাড়া লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে রেকর্ড ব্যবধানে ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্র থেকে তৃতীয়বার জেতার পর তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাময়িক বিরতি ঘোষণা করেছিলেন। চিকিৎসার জন্য তিনি বিরতি নিচ্ছেন বলেও জানান। আর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘‌চিকিৎসার জন্য আমি সংগঠন থেকে সংক্ষিপ্ত বিরতি নেব। এই সময় সাধারণ মানুষের চাহিদা কী সেটা আরও ভালভাবে অনুধাবনের সুযোগ আমার কাছে রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, রাজ্য সরকার দ্রুত এবং ভালভাবে মানুষের সমস্যার সমাধান করবে এবং মানুষ যাতে ন্যায়বিচার পায় তা নিশ্চিত করবে।’‌