Jibankrishna Saha: ‘পদ মানে লুটেপুটে খাওয়া নয়, সেবা করা,’ জেল থেকে বেরিয়ে এসব কী লিখছেন MLA জীবনকৃষ্ণ!

মুর্শিদাবাদের বড়ঞাঁর তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। এদিকে গ্রেফতার হওয়ার আগে তিনি ফোন ফেলে দিয়েছিলেন পুকুরে। তবে বর্তমানে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন জীবনকৃষ্ণ। একটি চ্য়াট বর্তমানে অনেকের নজর কেড়েছে ।সেখানে নাম সেভ করা রয়েছে এমলএ জীবন দা।  সেখানে লেখা আছে, ‘পদ মানে ক্ষমতা নয়, পদ মানে দায়িত্ব, পদ মানে লুটেপুটে খাওয়া নয়, লোকের সেবা করা, এটা ভুলে গেলে আসে অহংকার। তারপর পতন।’ তবে এই ভাইরাল চ্য়াটের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। 

এদিকে এই পোস্ট নজর কেড়েছে অনেকের।

২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে গ্রেফতার করা হয়েছিল জীবনকৃষ্ণকে। তবে তার আগে যখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন তখন তিনি তাঁর মোবাইল পুকুরে ফেলে দেন বলে খবর। এরপর সেই পুকুর ছেঁচে মোবাইল উদ্ধার করা হয়। শেষ পর্যন্ত গ্রেফতারও হয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত। এবার তাঁর চ্যাট বলে দাবি করে একটা লেখা ঘুরছে সমাজমাধ্যমে। আর সেখানে লেখা আছে, , পদ মানে লুটেপুটে খাওয়া নয়, লোকের সেবা করা, এটা ভুলে গেলে আসে অহংকার। তারপর পতন। জীবনকৃষ্ণের এই লেখা বলে যেটা দাবি করা হচ্ছে তা নিয়ে চর্চা একেবারে তুঙ্গে উঠেছে। 

এদিকে এর আগে তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, ফোনের পুরনো চ্যাট ঘেঁটে এক চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে তার কথোপথনের বিষয়টি সামনে এসেছিল। আর সেই কথার মধ্য়েই ছিল নানা সূত্র। এরপরই এনিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। তবে শেষ পর্যন্ত কিছুটা হলেও স্বস্তির। 

শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন জীবনকৃষ্ণ। কিছুটা হলেও স্বস্তির। 

এদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করেছিল সিবিআই। চার্জশিটে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণা, ঘুষ নেওয়ার মতো অভিযোগের পাশাপাশি তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে। চার্জশিটে নাম রয়েছে জীবনকৃষ্ণ সাহার এজেন্ট সুব্রত সামন্ত রায়েরও।

চার্জশিটে কী করে টাকার বিনিময়ে জীবনকৃষ্ণ চাকরি বিক্রি করেছেন তার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। কী ভাবে এজেন্ট সুব্রত সামন্ত রায়কে দিয়ে তিনি কোটি কোটি টাকা তুলেছেন তা চার্জশিটে জানিয়েছে সিবিআই।

উল্লেখযোগ্যভাবে চার্জশিটে জীবনকৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ এনে ২০১ ধারা প্রয়োগ করেছেন তদন্তকারীরা। তবে মুক্ত হওয়ার পরে জীবনকৃষ্ণের নয়া বাণীকে ঘিরে চর্চা একেবারে তুঙ্গে।