Panihati municipality: পানিহাটি পুরসভায় বন্ধ কাজ শুরুর নির্দেশ ফিরহাদের, বদল করা হতে পারে চেয়ারম্যান

পানিহাটি পুরসভায় অচলাবস্থা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে থমকে রয়েছে পানিহাটি পুরসভার একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ। যার জেরে সমস্যায় পড়েছেন সেখানকার নাগরিকরা।  বিদ্যুৎ, নিকাশি, জল থেকে শুরু করে কোনও পরিষেবাই ঠিকমতো মিলছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন অবস্থায় সমস্যার সমাধানে পুরসভার কাউন্সিলর, পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ এবং দমদমের সাংসদ সৌগত রায়কে নিয়ে বৈঠক করলেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি আগামী এক মাসের মধ্যে পুরসভার যাবতীয় সমস্যার সমাধান করতে বলেছেন। একইসঙ্গে চেয়ারম্যান বদলের ইঙ্গিতও দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: তোলাবাজিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পানিহাটি, বোমাবাজি এলাকায়, আহত ৪

এই পুরসভার নাগরিকদের অভিযোগ প্রায় দেড় বছর ধরে উন্নয়নের কাজ থমকে রয়েছে। এমন অবস্থায় পুরসভা কর্তৃপক্ষের উপর বেজায় ক্ষুব্ধ নাগরিকরা। রাজ্যের এ গ্রেড পুরসভা হিসেবে পরিচিত পানিহাটি। তারপরেও সেখানে নাগরিক পরিষেবা ধাক্কা খাওয়ায় পুরসভার ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। শনিবার বৈঠকে পুর মন্ত্রী জানতে চান কী কী সমস্যা রয়েছে? পুরসভার কাউন্সিলররা জানান, একাধিক ওয়ার্ডে পানীয় জলের সমস্যা সবচেয়ে বেশি। আবার তিন বছরের বেশি সময় ধরে সেপ্টিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার বন্ধ রয়েছে। পার্শ্ববর্তী পুরসভা থেকে কর্মীরা এসে সেই কাজ করে দিয়ে যান।

 মূলত অর্থের অভাবে পরিকাঠামো পানিহাটি পুরসভাতে ভেঙে পড়েছে বলে কাউন্সিলরদের একাংশ অভিযোগ তুলেছেন। পাশাপাশি বাতিস্তম্ভের তিন কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এছাড়া, স্থানীয়দের দাবি উঠার পরেও ২৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ভাগাড় সরানো যায়নি অর্থের অভাবে। অন্যদিকে, একাধিক কর্মীও বেতন পাচ্ছেন না দীর্ঘদিন ধরেই। তাছাড়া বিদ্যুৎ দফতরের বেহাল অবস্থা। 

অধিকাংশ ওয়ার্ডে টাকার অভাবে রাস্তার আলো সরানো যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। এই সমস্যার কথা শোনার পরে সব রকমের কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন ফিরহাদ। আগামী এক মাসের মধ্যে যে সমস্ত কাজ বন্ধ রয়েছে সেগুলি পুনরায় শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তাছাড়া পুরবোর্ডের বৈঠক ডাকা নিয়েও বিস্তর টানাপোড়ন চলেছে পানিহাটি পুরসভায় । ফিরহাদ নির্দেশ দিয়েছেন পুরসভায় পুর বোর্ডের বৈঠকে ডাকতে হবে সেই বৈঠকে থাকবেন সৌগত রায় এবং নির্মল। 

এদিকে, মলয় রায়কে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর দাবি উঠেছে দীর্ঘদিন ধরে। এই অবস্থায় চেয়ারম্যান বদলের ইঙ্গিত মিলেছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে চেয়ারম্যান বদল করা হতে পারে। কাউন্সিলরদের অভিযোগ ২০২২ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে পুরসভার ভোটের পর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মলয়কে চেয়ারম্যান করা হয়েছিল। তবে তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কারণে পুরসভার পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তীর্থঙ্কর ঘোষ এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সম্রাট চক্রবর্তী।