Sikkim and Kalimpong: সিকিমে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধার করতে পারল না বিমান, কালিম্পংয়েও বিপর্যয়, জাতীয় সড়কে যাবেন না

প্রমোদ গিরি

উত্তর সিকিমের লাচুং ও চুংথাংয়ে আটকে পড়া পর্যটকদের এয়ারলিফট করার ক্ষেত্রে  সিকিম সরকারের পরিকল্পনা রবিবার কার্যকর করা যায়নি। মূলত বৃষ্টি ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে এটা করা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে ভূমিধসে রাস্তা, সেতু এবং মানব বসতির ক্ষতির কারণে এই অঞ্চলের বেশিরভাগ অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। একাধিক রাস্তায় ধস নেমেছে।  কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

শনিবার থেকে কোনও হতাহতের খবর না থাকায় সিকিমে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে নয়। এর মধ্যে ছয়টি মঙ্গন জেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

উত্তর সিকিমে প্রায় ১২০০ পর্যটক আটকে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।

তাদের মধ্যে কমপক্ষে ২০০ জন চুংথাংয়ের গুরুদ্বারে আশ্রয় নিয়েছে এবং অন্যরা লাচুংয়ে রয়েছেন বলে খবর মিলেছে। ।

আপাতত বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় ভ্রমণ ও ট্যুর অপারেটররা এবং রাজ্য সরকার সোমবার থেকে লাচুং থেকে টুং পর্যন্ত পর্যটকদের গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দূরত্ব মাত্র ১৩ কিলোমিটার হলেও পাঁচটি স্থানে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর জেরে সমস্যা আরও বাড়ছে। 

‘ভূমিধসের কারণে তুং ও মাঙ্গানের মাঝে এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি গাড়ি আটকা পড়েছে। পর্যটকরা এই যানবাহনগুলিতে চড়বেন এবং যেখানে রাস্তাগুলি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেখানে নামবেন। ট্রাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অফ সিকিমের (টিএএএস) সভাপতি সোনম লাচুংপা বলেন, ’পরবর্তী ব্যাচের গাড়ি যেখানে পাওয়া যাবে সেখানে তারা হেঁটে যাবেন।

মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং শনিবার বলেছেন, পর্যটকদের সরিয়ে নেওয়ার একমাত্র উপায় হল বিমান অভিযান।

‘আবহাওয়া অনুকূল নয়, অনুমতি মেলেনি। মাঙ্গানে মোতায়েন এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে পর্যটকদের বিমান থেকে ওঠানো অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে।

রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী শেরিং থেন্ডুপ ভুটিয়া বলেন, ‘পর্যটকরা সবাই নিরাপদে আছেন, কিন্তু তাদের অনেকেই অস্থির হয়ে পড়েছেন।

পাহাড়ের ঢাল থেকে পাথর পড়া অব্যাহত থাকায় রবিবার সিকিম ও বাংলার কালিম্পং জেলার লাইফলাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক যানবাহন চলাচলের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়।

কালিম্পঙের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বালাসুব্রহ্মণ্যম টি বলেন, ‘আমরা মানুষকে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক এড়িয়ে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য বিকল্প পথ ব্যবহার করতে বলছি।

তিস্তা নদীর জলস্তর কমতে শুরু করলেও ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বহু জায়গায়, বিশেষ করে ২৭ মাইল থেকে মেল্লির মধ্যে মেরামতের প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।

তবে সূত্রের খবর সোমবার সকালে সিকিম থেকে পর্যটকদের এয়ার লিফ্ট করা হতে পারে।