Vidyasagar University: TMC ছাত্র পরিষদের ২ গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে, বন্ধ হল ফেস্ট

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল দীর্ঘদিন ধরেই। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেস্ট চলাকালীন চরম আকার নিল দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব। হাতাহাতি, মারামারিতে শেষ পর্যন্ত বন্ধ করতে হল অনুষ্ঠান। ঘটনাটি ঘটেছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। ঘটনায় মোট চার জন পড়ুয়া আহত হয়েছেন। যার মধ্যে দুজন হলেন ছাত্রী। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। এদিনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সবকিছু খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: ২ কলেজের ছাত্র সংসদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত বেলদা, ভাঙচুর TMCP-র অফিস, ঝরল রক্ত

কী ঘটেছিল?

জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন বরণ এবং বাৎসরিক অনুষ্ঠান ছিল। এর জন্য বেশ কয়েকজন সংগীত শিল্পীকে নিয়ে আসা হয়েছিল। সেখানে ছিলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী তথা জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী অনিন্দিতা চন্দ, ইমন সেন প্রমূখ। এদিন বিকেল ৪ টে থেকে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর অনিন্দিতা মঞ্চে ওঠার পরে রাত ৯ টার দিকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে অনুষ্ঠান চত্বর। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। গোলমালের জেরে শেষ পর্যন্ত শিল্পী ইমন সেন মঞ্চেই উঠতে পারেননি। 

অনুষ্ঠানের আয়োজকদের অভিযোগ, বহিরাগত কিছু ছাত্র এসে এদিন গোলমাল সৃষ্টি করেছিল। ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ, এই ঘটনার পর স্পষ্ট যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বলে আর কিছু রইল না। এদিকে, অনুষ্ঠানের মাঝপথে ঝামেলা বাঁধলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুশান্ত কুমার চক্রবর্তী ছাত্রছাত্রীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, তাতে কোনও লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত মাঝপথে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে সুশান্ত চক্রবর্তী জানান, অনুষ্ঠান প্রথম থেকে সুন্দরভাবেই হচ্ছিল। ছাত্র-ছাত্রীরা অনুষ্ঠান উপভোগ করছিল। তবে শোনা যাচ্ছে, এদিনের ঝামেলার পিছনে কিছু বহিরাগত ছাত্র রয়েছে। তিনি জানান, সবকিছু খতিয়ে দেখার পর এবিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে, এই ঘটনার তীব্র নিন্দা মেদিনীপুরের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা নেতৃত্ব। তাদের বক্তব্য, শিক্ষাঙ্গনে এই রকম ঘটনা একেবারেই মানা যায় না। যে বা যারা এই কাজ করেছে তারা একেবারে ঠিক করেনি। ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।