ট্রেনে পচনশীল খাদ্যপণ্য বহন না করার অনুরোধ

মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। পশু কোরবানি মধ্যে দিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করা হয়। আর এ কোরবানির মাংস নিজে এবং অন্যদের মাঝে বণ্টন করা হয়। অনেকে গ্রামের বাড়ি কোরবানি দিয়ে মাংস ঢাকায় নিয়ে আসেন। বিশেষ করে ট্রেনে মাংসসহ খাদ্যদ্রব্য পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও নিয়ম মানতে নারাজ সাধারণ মানুষ। তাই ট্রেনে মাংস পরিবহনসহ যেকোনও ধরনের খাদ্যদ্রব্য পরিবহনে বিশেষভাবে প্যাকেজিংয়ের অনুরোধ জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। 

রবিবার (১৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার এ অনুরোধ জানান।

মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ। আমাদের সম্পদ রক্ষা করা আমাদেরই দায়িত্ব এবং কর্তব্য। ট্রেনে মাংস পরিবহন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আমরা সেগুলো মানি না। কোরবানি ঈদের পর বাড়ি থেকে ফেরার সময় বেশিরভাগ মানুষ কাঁচা মাংসসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য পরিবহন করেন। যার ফলে আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রেলে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ অসুবিধার সন্মূখীন হন।

তিনি বলেন, কাঁচা মাংসের রক্ত বগির ফ্লোরে পড়ে গন্ধ ছড়ায়। এতে পরিবেশ নষ্ট হয়। যাত্রীরা গন্ধ ও রক্তের কারণে বিব্রতকর পরিস্থিতির সন্মূখীন হয়। তাই আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। মাংস পরিবহনসহ কোনও ধরনের খাদ্যদ্রব্য পরিবহন না করার অনুরোধ করছি সাধারণ মানুষের প্রতি। তারপরও যারা মাংস পরিবহন করবেন, তাদেরকে বিশেষভাবে প্যাকেজিং করার অনুরোধ করছি। যাতে ট্রেনের ভেতরে রক্ত না পরে এবং দুর্গন্ধ  না ছড়ায়।