Governor Sexual Harassment Allegation: বোসের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগে জিরো FIR কলকাতা পুলিশের, মামলায় নাম ভাইপোর

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নৃত্যশিল্পীর যৌন হেনস্থার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবার কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে দায়ের করা হল জিরো এফআইআর করা হল। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ এবং ১২০বি ধারায় এই এফআইআর করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সাধারণত যেখানে ঘটনা ঘটে সেখানের পুলিশ এফআইআর করা হয়। তবে জিরো এফআইআর করা হলে যেকোনও জায়গায়র ঘটনার তদন্ত করতে পারে মামলা রুজু করা পুলিশ। জানা গিয়েছে, এই জিরো এফআইআর করা হয়েছে হেয়ার স্ট্রিট থানায়। সেই এফআইআর-এ আবার বোসের ভাইপোর নাম আছে বলে জানা গিয়েছে। (আরও পড়ুন: ৬% সুদ সহ বকেয়া ভাতা দিতে হবে বাংলার সরকারি কর্মীদের, রাজ্যের কান মুলে দিল আদালত)

আরও পড়ুন: দীর্ঘদিন থমকে থাকার পর কাটতে পারে জট, বাংলায় শুরু হতে পারে নয়া রেললাইনের কাজ

আরও পড়ুন: হাসপাতালে ভরতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, এবার আর চোখে নয়, অপারেশন হবে শরীরে কোথায়?

সম্প্রতি রাজভবনের কর্মীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে। সেই বিতর্কের মাঝেই সামনে আসে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অপর একটি অভিযোগ। রিপোর্ট অনুযায়ী, এক নৃত্যশিল্পীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে। সেই নিয়ে লালবাজারের গোয়েন্দারা প্রাথমিক তদন্ত করে নবান্নে তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়েছে।

আরও পড়ুন: বাংলায় লোকসভা ভোটে কেন শুকিয়ে গেল পদ্ম? কারণ খুঁজতে জোন ধরে ধরে সমীক্ষা

রিপোর্টে দাবি করা হয়, ২০২৩ সালে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগের করেছিলেন এক নামী ওড়িশি নৃত্যশিল্পী। সেই অভিযোগ অনুযায়ী, গত ২০২৩ সালের জুন মাসে একটি অনুষ্ঠানের নাম করে তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়েছিলেন বোস। সেখানে এক পাঁচতারা হোটেলে নৃত্যশিল্পীর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানেই নাকি তাঁর সঙ্গে রাজ্যপাল অভব্য আচরণ করেছিলেন। তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছিলেন। এরপরই সেই নৃত্যশিল্পী নবান্নের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। পরে নবান্নের তরফ থেকে কলকাতা পুলিশকে এই বিষয়ে প্রাথমিক তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের বিপর্যয় ভুলে উপনির্বাচনে মন বিজেপির, প্রার্থী বাছতে তৈরি তালিকা

উল্লেখ্য, সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে, রাজভবনে নিজের চেম্বারে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নাকি এক মহিলার শ্লীলতাহানি করেন। মে মাসের ২ তারিখে ঘটনা ঘটেছিল বলে দাবি করা হয়। সেদিনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, অভিযোগকারী মহিলা রাজভবনের সিঁড়ি দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে নেমে যাচ্ছেন। রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, সেদিন ওই মহিলা পুলিশের কাছে যাওয়ার আগে এক সচিবের ঘরে গিয়েছিলেন। পুলিশ ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে, রাজভবনের কনফারেন্স রুমে রাজ্যপালের সঙ্গে প্রায় ১৫ থেকে ১৬ মিনিট ছিলেন তিনি। সেই ঘটনাতেও পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এদিকে রাজ্যপালের সচিব এবং রাজভবনের অন্যান্য কর্মীর বিরুদ্ধে সেই নির্যাতিতাকে আটকে রাখার অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর করা হয়েছিল।