Kasba Acropolis mall fire: তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে কসবার শপিং মল, CCTV ফুটেজ চাইল দমকল

শুক্রবার কসবার অ্যাক্রোপলিস শপিংমলে ভয়াবহ আগুন লেগেছিল। সেই ঘটনায় কোনও হতাহত না হলেও আগুন লাগার কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। কীভাবে আগুন লেগেছিল তা এখন জানা যায়নি। এই অবস্থায় আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখতে শনিবার মল পরিদর্শন করলেন দমকলের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে ফরেন্সিক দল নমুনা সংগ্রহ করেছে। এদিকে, শনিবারও বন্ধ রয়েছে শপিং মল। দমকলের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত মল বন্ধ থাকবে। 

আরও পড়ুন: ‘আমাদের কথা ভেবে…’ কসবার অগ্নিকাণ্ডের পর কেন এমন বললেন ‘মির্চি অগ্নি’?

শনিবার অ্যাক্রোপলিস মল পরিদর্শন করেন দমকলের ডিজি জগমোহন এবং দমকলের অধিকর্তা অভিষেক পাণ্ডে। তাঁরা মলের অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা ঠিকঠাক ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি ফায়ার অডিট রিপোর্ট দেখতে চান। আগুন লাগার পরেই মলের এমার্জেন্সি এক্সিটে আবর্জনা স্তূপ ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। সে বিষয়টিও সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা।

মলের যে অংশে আগুন লেগেছে তার ঠিক নিচের ফ্লোরে মেরামতির কাজ চলছিল বলে দমকলের কর্তাদের জানিয়েছে মল কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে কী মেরামতি করা হচ্ছিল? কারা মেরামতি করছিলেন? কোন যন্ত্র মেরামতির জন্য ব্যবহার করা হয়েছে? সেই তালিকাও চেয়েছেন কর্তারা। পাশাপাশি মলে নিয়মিত মক ড্রিল হয় কিনা বা শেষ কবে হয়েছে? সেই তথ্যও মল কর্তৃপক্ষের কাছে চেয়েছেন। একইসঙ্গে মল কর্তৃপক্ষের কাছে ঘটনার ২৪ ঘণ্টার আগের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়েছেন আধিকারিকরা।

এদিকে, ঘটনার পরেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে শপিং মলে। মেরামতির কাজও এখনও শুরু হয়নি সেখানে। মল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দমকলের অনুমতি মিললে তবেই মেরামতির কাজ শুরু হবে। অগ্নিকাণ্ডের পরেই মলে সাধারণের প্রবেশ নিষেধ করা হবে। শুধু মল কর্তৃপক্ষ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখতে ভিতরে যেতে পারবে বলে অনুমতি দিয়েছে দমকল। এ বিষয়ে মল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, কোথায় কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সবরকমভাবে দমকলকে সাহায্য করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষও জানাচ্ছে, যতক্ষণ পুরোপুরি সুরক্ষা নিশ্চিত করা হচ্ছে ততক্ষণ মল খোলা সম্ভব হচ্ছে না। মলের তৃতীয় তলে বুক স্টোরে আগুন লেগেছিল বলে মল কর্তৃপক্ষের তরফে একজন জানান। তাঁর বক্তব্য, ঘটনাস্থলে প্রচুর বই পত্র থাকার কারণে ধোঁয়া বেশি হয়েছে। আগুনের শিখা কম ছিল।

অন্যদিকে, অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু জানান, ফায়ার অডিট হয়েছে। তবে তার পরে পরিবর্তন করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। সেরকম হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি দমকল কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়েছে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অথবা ফরেন্সিক রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মল বন্ধ থাকবে।