New Nostradamus: ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বেশি দূরে নয়, শেষের সেদিন জুন মাসেই…’ ভারতীয় জ্যোতিষীর কথায় তোলপাড়

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কি একেবারে দোরগোড়ায়? শেষের সেদিন কি আসছে? এই প্রশ্নটা নানা সময়তেই ওঠে। তবে এবার তা নিয়ে বিরাট আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন এক ভারতীয় জ্যোতিষী। নয়া নস্ট্রাদামুস বলেও পরিচিত তিনি। নাম কুশল কুমার। নিউ ইয়র্ক পোস্টের একটি প্রতিবেদন তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ১৮ জুন গ্রহের এমন অবস্থান শুরু হচ্ছে যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনাকে আরও বাড়িতে দেবে। দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। 

অন্যদিকে তিনি তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে একাধিক বিষয়কে তুলে ধরেছেন। 

প্রথমত তিনি কাশ্মীরে একটি জঙ্গি হানার কথা তুলে ধরেছেন। যেখানে অন্তত ৯জন হিন্দু তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল। 

দ্বিতীয়ত তিনি উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেছেন। 

তৃতীয়ত তিনি ইজরায়েল সংকটের কথা তুলে ধরেন। চতুর্থত তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়া হাভানার দিকে নিউক্লিয়ার সাবমেরিন পাঠাচ্ছে।

তবে সবথেকে বড় বিষয় হল চিন তাইওয়ানের সৈকতে যুদ্ধের মহড়া শুরু করেছে। এর জেরে কিছুটা হলেও উদ্বিগ্ন মার্কিন অফিসাররা। 

সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, দেখে যান গোটা বিশ্বজুড়ে কীভাবে যুদ্ধের ছবিটা ধাপে ধাপে স্পষ্ট হয়। 

তিনি জানিয়েছেন ২৯ জুন তারিখটা খুব গুরুত্বপূর্ণ( Dooms Day)। এর আগে ১০ জুনের কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেটা চলে গিয়েছে। এবার বলা হচ্ছে ২৯শে জুনের কথা। তবে এটা বলাই যায় যে যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নাও আসে তাহলেও পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তা যথেষ্ট উদ্বেগের। 

নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন কয়েক মাস আগে জানিয়েছিল যে আগামী ২০ বছরের মধ্য়ে রাশিয়ার সঙ্গে একটা যুদ্ধ অবধারিতভাবে হতে পারে। 

এদিকে ডুমসডে ক্লক যেন টিক টিক করে এগোচ্ছে সেই বিপদের দিকে। এই গ্রহ কতটা এগিয়ে যাচ্ছে পারমাণবিক যুদ্ধের দিকে…

গোটা বিশ্বজুড়েই একাধিক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি ক্রমেই বিগড়ে যাচ্ছে। একে অপরের বিরুদ্ধে চোখ রাঙাচ্ছে। সেই অবস্থায় কবে যুদ্ধের দামামা বাজবে তা নিয়ে নানা আশঙ্কা। তার মধ্যেই একেবারে ভয়াবহ আশঙ্কার কথা শোনালেন ভারতীয় জ্যোতিষী। তিনি জানিয়ে দিলেন হতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। সেই সঙ্গেই জানিয়ে দেওয়া হল শেষের সেদিন আসন্ন। এনিয়ে নির্দিষ্ট তারিখও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে বড় আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন ভারতীয় জ্যোতিষী। তবে এই মতামত হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার নয়।