তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ দ্বারপ্রান্তে, ভারতীয় জ্যোতিষের ভবিষ্যৎবাণী

ভারতীয় এক জ্যোতিষ দাবি করেছেন, পৃথিবী এখন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে, আর কদিনের মধ্যেই এটা শুরু হতে পারে। হিন্দু ধর্ম ও সংস্কৃতির আলোকে গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থান বিশ্লেষণ করে জ্যোতিষ কুশল কুমার মঙ্গলবার (১৮ জুন) জানান, মানবজাতির ‘কার্মা’র কারণেই এই অবধারিত পরিণতি হবে। বিশ্বযুদ্ধ শুরুর সম্ভাব্য দিনক্ষণও বলে দিয়েছেন তিনি। তার মতে, ২৯ জুন শুরু হবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। ভারতরে সংবাদমাধ্যম এনডটিভি এ খবর জানয়িছে।

এই জ্যোতিষকে ‘এ যুগের নস্ট্রাডমাস’ হিসাবে অভিহিত করা হয়। তার মতে, ইসরায়েল-হামাস, রাশিয়া ও ন্যাটো, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে বর্তমানে যে টানাপড়েন চলছে—এসবের সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া হিসাবেই এই বিশ্বযুদ্ধ হতে পারে। এমনকি

এর আগেও তিনি এই বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন। বিশ্বযুদ্ধ শুরুর সম্ভাব্য তারিখ হিসাবে তখন তিনি ১০ জুন অথবা ২৯ জুনের কথা বলেছিলেন।

কুশল কুমার অবশ্য একথাও বলেন যে, ‘এসব ভবিষ্যৎবাণী করা হয় এ কারণে যে, যাতে সম্ভাব্য এসব ঘটনাপ্রবাহ থেকে আমরা সতর্ক হতে পারি। সেই সঙ্গে নিজ নিজ দেশের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পরি।’

নিজের ভবিষ্যৎবাণীর পক্ষে যুক্তি দিতে যেয়ে কুশল কুমার বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংঘাতপূর্ণ ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। তার মতে, ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে এরই মধ্যে যথেষ্ট উত্তেজনা বিরাজ করছে। উত্তর কোরিয়ার সেনারা ডিমার্কেশন লাইন অতিক্রম করে দক্ষিণ কোরিয়ার সীমানার মধ্যে ঢুকে পড়ছে।

এছাড়াও কিউবার মিসাইল ক্রাইসিস, সেপ্রেক্ষিতে সেখানে একটি নিউক্লিয়ার সাবমেরিনসহ রাশিয়ার যুদ্ধ জাহাজ প্রেরণ, তাইওয়ান সীমান্তে চীনের যুদ্ধ মহড়া, এসব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের বিষয়ও উল্লেখ করেন ভারতীয় এই জ্যোতিষী।

তার মতে, এসব পরিস্থিতির কারণেই বিশ্ব এখন আরও একটা সর্বব্যাপী যুদ্ধের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।