Ananta Maharaj: ‘আমি কোনও রাজনৈতিক দলে নেই’, মমতা বেরোতেই বললেন BJPর রাজ্যসভার সদস্য অনন্ত মহারাজ

তিনি কোনও রাজনৈতিক দলে নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পর বললেন পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিজেপির প্রথম রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজ। মঙ্গলবার দুপুরে কোচবিহারে অনন্ত মহারাজের বাড়িতে তাঁর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মুখ্যমন্ত্রী অনন্ত মহারাজের বাড়িতে যাচ্ছেন শুনেই তাঁর দলবদলের জল্পনা ছড়ায়।

আরও পড়ুন – রাত ৩টে ২০-তে শিয়ালদার ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছল ‘অভিশপ্ত’ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস

পড়তে থাকুন – ‘মানুষকে ট্রেন ছেড়ে সাইকেল নিতে হয়…’কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনা, তোপ মমতার

মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরে অনন্ত মহারাজ বলেন, ‘আমার মতি মরে গেছে না কি? আমি কোনও রাজনৈতিক দলে নেই। আমি তৃণমূল বা মমতা কারও সঙ্গে যোগাযোগ করিনি। উনি নিজের ইচ্ছায় আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। রাজনৈতিক কোনও আলোচনা হয়নি আমার সঙ্গে।’

গত বছর পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিজেপির প্রথম রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হন অনন্ত মহারাজ। তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠানোর পিছনে মূল তৎপরতা ছিল কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের তৎকালীন সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের। কিন্তু লোকসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার কাছে পরাজিত হয়েছেন নিশীথ। তার পরই এদিন অনন্ত মহারাজের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা উঠছে। প্রশ্ন উঠছে, দলীয় টিকিটে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হয়ে কী করে ‘কোনও দলে নেই’ বলে দাবি করতে পারেন তিনি?

আরও পড়ুন – ‘মৃত্যুর মুখে! ছিটকে পড়লাম, ট্রেনে চাপতে ভয় লাগছে,’ HT Bangla-তে জানালেন কাঞ্চনজঙ্ঘার যাত্রী

এই নিয়ে কোচবিহার জেলা বিজেপি সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘উনি একজন ধর্মীয় নেতা। ওনার সঙ্গে যে কেউ দেখা করতেই পারে। আর বাকিটা রাজ্য নেতৃত্ব বলবে।’

বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ। একজন জনপ্রতিনিধির সঙ্গে আরেকজন জনপ্রতিনিধি দেখা করতেই পারেন।’