Biplab Deb made serious allegation: কোচবিহারে BJP কর্মীকে ২০ জন মিলে ধর্ষণ করেছে, FIR নিচ্ছে না পুলিশ: বিপ্লব দেব

ভোট পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসে বিস্ফোরক দাবি করলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। তাঁর দাবি, কোচবিহারে এক মহিলা বিজেপিকে ২০ জনে মিলে ধর্ষণ করেছে। তার পরও মহিলার অভিযোগ গ্রহণ করছে না পুলিশ। নির্যাতিতা নারীকে সুবিচার না – দেওয়ায় ঈশ্বর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পতন ঘটাবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরও পড়ুন – রাত ৩টে ২০-তে শিয়ালদার ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছল ‘অভিশপ্ত’ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস

পড়তে থাকুন – ‘মানুষকে ট্রেন ছেড়ে সাইকেল নিতে হয়…’কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনা, তোপ মমতার

মঙ্গলবার সংবাদসংস্থা ANIকে বিপ্লব দেব বলেন, ‘কোচবিহারে এক মহিলাকে ২০ জন মিলে ধর্ষণ করেছে। সেখানে পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করেনি। গোপন জবানবন্দি নেওয়ার ব্যবস্থা করেনি। যেখানে পুলিশের স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করার কথা। একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর জমানায় প্রতিবাদ করার লোক নেই। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা করা উচিত। বাংলার মতো মাটিকে উনি এভাবে কলঙ্কিত করছেন।’

আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে বিপ্লব দেব বলেন, ‘নির্লজ্জতার সীমা থাকে। সেটা পেরিয়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষমতায় যখন মানুষ অন্ধ হয়ে যায় তখন তাদের পতন হয়। উনি পতনের দিকে চলে গিয়েছেন। আর বেশি বাকি নেই। ওনার পতন হবে। তখন ওনার মনে হবে সময় থাকতে আমি এগুলো করিনি তাই আমার পতন হয়েছে। বামেদের মতো হাল হবে এদের। মহিলার ওপর অত্যাচার হলে যদি কোনও শাসক সুবিচার না দেন তার পতন ঘটান স্বয়ং ঈশ্বর।’

রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসেছে চার সদস্যের প্রতিনিধিদল। দলে রয়েছেন বিপ্লব দেব, রবিশংকর প্রসাদ, ব্রজলাল ও কবিতা পতিদার। রাজ্য থেকে প্রতিনিধিদলে যোগদান করেছেন অগ্নিমিত্রা পাল, ফাল্গুনি পাত্ররা। এদিন বারুইপুর ও ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের বিস্তীর্ণ এলাকা পরিদর্শন করে বিজেপির প্রতিনিধিদল। আক্রান্ত কর্মীদের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন তাঁরা। বিভিন্ন পার্টি অফিসে ত্রাণ শিবিরে আক্রান্তদের আশ্বস্ত করেন তাঁরা।

আরও পড়ুন – ‘মৃত্যুর মুখে! ছিটকে পড়লাম, ট্রেনে চাপতে ভয় লাগছে,’ HT Bangla-তে জানালেন কাঞ্চনজঙ্ঘার যাত্রী

ওদিকে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় মঙ্গলবার আদালতে রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাজ্য সরকার। তাতে জানানো হয়েছে ১২ জুন পর্যন্ত রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ৫৬০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে ৯২টি অভিযোগের ক্ষেত্রে কোনও ধর্তব্যযোগ্য অপরাধ পাওয়া যায়নি। ১১৪টি ক্ষেত্রে অনুসন্ধান করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি। ১৮টি অভিযোগের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। ১৩৮টি অভিযোগের তদন্ত করছে পুলিশ। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তের ওপর নজরদারি করছেন সিআইডির অতিরিক্ত অধিকর্তা বিশাল গর্গ। ৩ দিন পর পর অভিযোগগুলির তদন্ত কতদূর এগোল তা নিয়ে রিপোর্ট দিচ্ছেন তিনি।