Kanchanjungha Express Accident: রাত ৩টে ২০-তে শিয়ালদার ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছল ‘অভিশপ্ত’ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস

শিয়ালদা স্টেশনের ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে রাত ৩টে ২০ মিনিট নাগাদ পৌঁছল দুর্ঘটনার কবলে পড়া কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসটি। সেই সময় প্ল্যাটফর্মে সেই ট্রেনের যাত্রীদের অভয় প্রদান করতে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী – ফিরহাদ হাকিম ও স্নেহাশিস চক্রবর্তী। প্ল্যাটফর্ম চত্বরে তখন প্রচুর সংখ্যক রেল পুলিশ মোতায়েন। এরই মধ্যে ট্রেন থামতেই ফিরহাদ হাকিমকে জড়িয়ে কাঁদতে দেখা গেল এক যাত্রীকে। সেই ব্যক্তি কলকাতা জিপিওতে চাকরি করেন বলে জানা যায়। পরে তিনি জানান, তাঁর কামরা অনেকটা পিছনের দিকে ছিল বলে বিপদ থেকে তিনি দূরেই ছিলেন। তবে এই দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে অনুভব করেছেন। এদিকে আতঙ্কের পাশাপাশি অনেক যাত্রীর মুখেই ছিল স্বস্তির ছাপ। (আরও পড়ুন: কর্মীদের ‘আরাম’ ছিনিয়ে নিয়ে অর্ডার জারি সরকারের, হুঁশিয়ারি কড়া পদক্ষেপের)

আরও পড়ুন: ‘সরকারের অধিকার…’, রাজ্য সরকারি কর্মীদের পকেটে চাপ বাড়িয়ে বড় রায় আদালতের

আরও পড়ুন: নিয়ম মতো মেলেনি ভাতা, তাও রাজ্য সরকারি কর্মীর দাবিতে ‘বৈধতা’ খুঁজে পেল না আদালত

এর আগে সোমবার রাতের দিকে ভারতীয় রেলের তরফে জানানো হয়েছে যে মোট নয়জনের মৃত্যু হয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায়। তাঁদের মধ্যে সাতজন যাত্রী আছেন। সেইসঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ড এবং মালগাড়ির চালকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন মালগাড়ির সহকারী চালক। নয়জনের গুরুতর আঘাত লেগেছে। অল্পবিস্তর আঘাত লেগেছে ৩২ জনের। (আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের জন্য বড় আপডেট! নয়া বেতন কমিশনের প্রস্তাব জমা পড়ল সরকারের কাছে)

আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের বেতন,ডিএ নিয়ে বড় ঘোষণা রাজ্যের ‘দ্বিতীয় সবচেয়ে ক্ষমতাবান’ নেতার

এদিকে এই দুর্ঘটনার জন্য মালগাড়ির চালকের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছে রেল। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে প্রাথমিকভাবে রেলওয়ে বোর্ডের সিইও রেখা বর্মা সিনহা দাবি করেছেন যে মালগাড়ির চালক সিগন্যাল না মেনেই এগিয়ে গিয়েছিলেন। তার জেরে দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে আশ্বাস দিয়েছেন রেলওয়ে বোর্ডের সিইও। মালগাড়ির চালকের অবশ্য মৃত্যু হয়েছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি জনককুমার গর্গের নেতৃত্বে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী বুধবার থেকে শুরু হবে তদন্ত। কেউ যদি দুর্ঘটনার বিষয়ে কোনও তথ্য জানাতে চান, তাহলে তাঁরা সেটা করতে পারবেন। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের অ্যাডিশনাল ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারের অফিসে সেই কমিশন কাজ করবে। সেখানে গিয়েও তথ্য জানানো যাবে।

তারইমধ্যে সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সোমবার ভোর ৫ টা ৫০ মিনিট থেকে রাঙাপানি এবং চটেরহাট স্টেশনের মধ্যে অটোমেটিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা বিকল হয়ে গিয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে ‘পেপার লাইন ক্লিয়ার টিকিট’ (কাগজের সিগন্যালিং ব্যবস্থা) প্রক্রিয়ায় ট্রেন চালানো হচ্ছিল। কাঞ্চনজঙ্ঘা এবং মালগাড়িকে সেই ‘পেপার লাইন ক্লিয়ার টিকিট’ দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ ধীরগতিতে লাল সিগন্যাল পেরিয়ে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছিলেন চালকরা। সেক্ষেত্রে দুর্ঘটনার দায় কার, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।