Kanchanjungha Express Accident Update: কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনা নিয়ে রেল বোর্ডের দাবি কতটা যুক্তিসঙ্গত? ক্রমেই ঘনীভূত রহস্য

রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং সিইও জয়া বর্মা দাবি করেছিলেন, মানুষের ভুলেই কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তিনি দাবি করেন, লাল সিগন্যাল অমান্য করে এগিয়ে গিয়েছিল মালগাড়িটি। তবে এদিকে রেল আধিকারিকদেরই একাংশ দাবি করেছেন, এই লাইনে অটোমেটিক সিগন্যাল গোলমাল করছিল বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই। এই আবহে পেপাল লাইন ক্লিয়ার টিকিট বা ‘কাগুজে সিগন্যাল’-এর মাধ্যমে সেই লাইনে ট্রেন লাচল করছিল। আর কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ধাক্কা মারা সেই মালগাড়ির কাছে নাকি লাল সিগন্যাল অতিক্রম করার অনুমতি ছিল সেই পেপল লাইন ক্লিয়ার টিকিটে। (আরও পড়ুন: ‘সরকারের অধিকার…’, রাজ্য সরকারি কর্মীদের পকেটে চাপ বাড়িয়ে বড় রায় আদালতের)

আরও পড়ুন: কর্মীদের ‘আরাম’ ছিনিয়ে নিয়ে অর্ডার জারি সরকারের, হুঁশিয়ারি কড়া পদক্ষেপের

আরও পড়ুন: রাত ৩টে ২০-তে শিয়ালদার ১৩ নং প্ল্যাটফর্মে পৌঁছল ‘অভিশপ্ত’ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস

পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সোমবার ভোর ৫ টা ৫০ মিনিট থেকে রাঙাপানি এবং চটেরহাট স্টেশনের মধ্যে অটোমেটিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা বিকল হয়ে গিয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে ‘পেপার লাইন ক্লিয়ার টিকিট’ (কাগজের সিগন্যালিং ব্যবস্থা) প্রক্রিয়ায় ট্রেন চালানো হচ্ছিল। কাঞ্চনজঙ্ঘা এবং মালগাড়িকে সেই ‘পেপার লাইন ক্লিয়ার টিকিট’ দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ ধীরগতিতে লাল সিগন্যাল পেরিয়ে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছিলেন চালকরা। সেক্ষেত্রে দুর্ঘটনার দায় কার, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। (আরও পড়ুন: নিয়ম মতো মেলেনি ভাতা, তাও রাজ্য সরকারি কর্মীর দাবিতে ‘বৈধতা’ খুঁজে পেল না আদালত)

আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের জন্য বড় আপডেট! নয়া বেতন কমিশনের প্রস্তাব জমা পড়ল সরকারের কাছে

রিপোর্ট অনুযায়ী, টি/এ৯১২ সংখ্যক ‘পিএলসিটি’ ইস্যু করা হয়েছিল মালগাড়ির চালককে। রঙ্গপানির স্টেশন মাস্টার সেই কাগুজে সিগন্যাল দিয়েছিলেন। সেই টিকিটে বলা হয়েছিল, রঙ্গপানি রেল স্টেশন এবং ছত্তরহাট জংশনের মধ্যে যতগুলি অটোমেটিক সিগন্যাল আছে, সেগুলি পার করার অনুমতি দেওয়া হল। এদিকে নিয়ম অনুযায়ী, এই ধরনের কাগুজে সিগন্যাল ব্যবহার করা হলে প্রতি অটোমেটিক সিগন্যালে ১ মিনিট করে অপেক্ষা করতে হবে দিনের বেলায়। এরপর ১০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে এগোতে হবে। এই আবহে লাল সিগন্যাল পার করার অনুমতি থাকলেও দুর্ঘটনার স্থল দিয়ে খুবই ধীর গতিতে মালগাড়িটি পার করার কথা ছিল। এই আবহে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হলেই বোঝা যাবে, কেন বিধি অমান্য করে এত দ্রুত গতিতে সেখান দিয়ে ছুটেছিল সেই ঘাতক মালগাড়িটি।

দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে প্রাথমিকভাবে রেলওয়ে বোর্ডের সিইও জয়া বর্মা সিনহা দাবি করেছেন যে মালগাড়ির চালক সিগন্যাল না মেনেই এগিয়ে গিয়েছিলেন। তার জেরে দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে আশ্বাস দিয়েছেন রেলওয়ে বোর্ডের সিইও। মালগাড়ির চালকের অবশ্য মৃত্যু হয়েছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি জনককুমার গর্গের নেতৃত্বে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী বুধবার থেকে শুরু হবে তদন্ত।