Low sperm count: আপনি কি ৪০ অতিক্রান্ত? সাবধান, এই ভুলগুলি করলে কমে যেতে পারে শুক্রাণুর পরিমাণ

মেয়েদের শরীরে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ডিম্বানু থাকে, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমতে শুরু করে। কিন্তু পুরুষদের ক্ষেত্রে তা হয় না। পুরুষরা প্রতিদিন নতুন শুক্রাণু তৈরি করতে সক্ষম। এর অর্থ হলো, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুক্রাণু ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না পুরুষদের ক্ষেত্রে। কিন্তু তাও কেন বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষদের মধ্যে দেখা যায় অক্ষমতা?

চিকিৎসকদের মতে, পুরুষদের উর্বরতা হ্রাস বেশ কিছু কারণে হতে পারে। এর মধ্যে প্রধান কারণ হলো কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি, পরিবেশগত কারণ, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা এবং বাড়তে থাকা বয়স। বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি শুক্রাণু উৎপাদন বা বীর্যপাত কমিয়ে দিতে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করে।

(আরো পড়ুন: একটি জুতো লকারে রাখুন, অন্যটি পকেটে! হোটেল গেস্টদের অদ্ভুত পরামর্শ ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের)

আপনার যদি এপিডিডাইমাইটিসের মতো সংক্রমণ থাকে, অথবা কোনও শারীরবৃত্তীয় সমস্যা থাকে তাহলে আপনার শুক্রাণু নিঃসরণ সংক্রান্ত সমস্যা তৈরি হতে পারে। এছাড়া ক্রোমোসোমাল ত্রুটি যা পুরুষদের প্রজনন অঙ্গের অস্বাভাবিক বিকাশ ঘটায়, যৌন মিলনে সমস্যা তৈরি করে এবং গর্ভধারণের বাধা সৃষ্টি করে।

আপনার যদি ক্যানসারের চিকিৎসা হয়ে থাকে অর্থাৎ কেমোথেরাপি, রেডিয়েশনের মত চিকিৎসা হয়ে থাকে তাহলে আপনার বীর্যপাতের সমস্যা তৈরি হতে পারে। এছাড়া বেশ কিছু অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ, আলসারের ওষুধ খেলেও কিন্তু এই সমস্যা তৈরি হয়। আগে কোনও সার্জারি যেমন হার্নিয়ার অপারেশন, প্রোস্টেট সার্জারি, টেস্টিকুলার সার্জারি হলে বীর্যপাতের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

শারীরিকগত সমস্যা ছাড়াও প্রতিদিনের জীবনে যদি আপনি নেতিবাচক লাইফ স্টাইল বেছে নেন তাহলে আপনার এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। অত্যাধিক অ্যালকোহল, ধূমপান, কোকেন, স্টেরয়েড সহ নেশার বস্তু যদি আপনি নিয়মিত সেবন করেন তাহলে আপনার শুক্রানুর সংখ্যা কমতে থাকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে।

(আরো পড়ুন: ফাদার্স ডে করে তুলুন আরও স্পেশাল, বাবাকে দিন এই পাঁচটি ইউনিক গিফট)

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আপনার যদি স্থূলতা বাড়তে থাকে তাহলে আপনার শুক্রাণু কমে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শুক্রাণু স্বাভাবিকভাবে কমে যায় না ঠিকই কিন্তু আপনি যদি অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা বেছে নেন তাহলে কিন্তু এই সমস্যা দেখা দিতেই পারে। চিকিৎসকদের মতে, ৩০ বছরের কম বয়সী পুরুষদের তুলনায় ৪০ বছরের বেশি পুরুষদের বীর্যপাতের সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ কমে যায়।

বোঝাই যাচ্ছে, বয়সের সাথে সাথে এই সমস্যা দেখা দেয় কিন্তু আপনি যদি সুস্বাস্থ্যকর জীবন অতিবাহিত করেন তাহলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন আপনি।