‘‌সিট তো আমরা জিতে বসেই আছি’‌, মনোনয়ন জমা দিয়েই আত্মবিশ্বাসী বাগদার মধুপর্ণা

লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ আসনটি দখল করা যায়নি। তবে উপনির্বাচনে বাগদা আসন জেতার সুযোগ রয়েছে। তাই এবার তৃণমূল কংগ্রেসের বড় বাজি মধুপর্ণা ঠাকুর। যিনি রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে। ঠাকুমা বীণাপানিদেবীর ঘরে ঢুকতে না দেওয়ার জন্য জ্যাঠতুতো দাদা শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে অনশনে বসেছিলেন মধুপর্ণা। তখন থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের ভাবনাচিন্তায় ছিল মধুপর্ণা ঠাকুর। তাই রাজনীতির ময়দানে নবাগতা ঠাকুর পরিবারের সদস্য মধুপর্ণা ঠাকুরকেই বাগদার উপনির্বাচনে টিকিট দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আজ, বুধবার বনগাঁর মহকুমাশাসকের দফতরে গিয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন মধুপর্ণা।

এই আসনটি মতুয়া ভোটের উপর নির্ভর করে। মতুয়া ভোট যেদিকে যাবে আসন সেই দিকেই যাবে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে মতুয়া ভোট ভাগ হয়ে গিয়েছিল। একটা অংশ যায় শান্তনু ঠাকুরের দিকে। আর একটা অংশ যায় বিশ্বজিৎ দাসের দিকে। তার মধ্যে সামান্য বেশি ভোট বিজেপির দিকে পড়ায় জিতে যান শান্তনু ঠাকুর। আর এখন তিনি আবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু বাগদা আসন জিতে নিতে জোর লড়াই হবে বোঝা যাচ্ছে। আর সেই আত্মবিশ্বাস দেখা গেল মধুপর্ণার গলায়। নীল সাদা শাড়ি পরে আজ জেলাশাসকের দফতরে এসে মনোনয়ন জমা দিলেন মধুপর্ণা।

আরও পড়ুন:‌ অগস্ট মাস থেকে বাতিল হবে ১৫ বছরের পুরনো বাস, শহরে ব্যাপক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা

আগামী ১০ জুলাই বাগদা–সহ চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। রাজনীতির ময়দানে নবাগতা বলে যাঁরা মধুপর্ণাকে লঘু করে দেখবেন তাঁরা ভুল করবেন এতটুকু বলাই যায়। ইতিমধ্যেই মধুপর্ণাকে নিয়ে প্রচারে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ঠাকুরবাড়ির এই কনিষ্ঠ সদস্যকে নিয়ে মতুয়া ভোট একজোট করার চেষ্টা করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। তার উপর বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল দেখা দিয়েছে। প্রার্থী নিয়ে আকচাআকচি চরমে উঠেছে। তাঁরা প্রার্থী বদলের দাবি না মানায় নির্দল প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর এই অন্তর্কলহের সুযোগ নিতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।

তাই তো মনোনয়ন জমা দিতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন মা মমতাবালা ঠাকুর ও দলীয় নেতা–কর্মীরা। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরে আত্মবিশ্বাসী মধুপর্ণা বলেন, ‘‌সিট তো আমরা জিতে বসেই আছি। এটা জাস্ট একটা ফরমালিটি। লড়াইটা খুব কঠিন না। ১৩ তারিখে দিদির হাতে সিটটা তুলে দিতে পারব।’‌ তরুণী মধুপর্ণা সদ্য প্রাণিবিদ্যা নিয়ে স্নাতক হয়েছেন। প্রার্থী হিসাবে তৃণমূল তাঁর নাম ঘোষণার করতেই মধুপর্ণা বলেছিলেন, তিনি রাজনীতিতে নবাগতা হলেও রক্তে তাঁর রাজনীতি রয়েছে। নির্বাচনী ময়দানে নামতে তিনি একটুও দ্বিধাগ্রস্থ নন। বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে তিনি কিছু ভাবছেন না। তবে তাঁর জয় নিয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী। ১৩ জুলাই বাগদার আসন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দিতে পারবেন বলে ১০০ শতাংশ আশাবাদী।