Kanchanjunga express accident: তদন্ত ছাড়াই মৃত ট্রেন চালককে কেন দায়ী করা হচ্ছে? আইনি ব্যবস্থার পথে পরিবার

সোমবার উত্তরবঙ্গে রাঙাপানি স্টেশনের কাছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে মর্মান্তিক  দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। এই দুর্ঘটনার জন্য প্রাথমিকভাবে মৃত মালগাড়ির চালক অনিল কুমারকেই দায়ী করেছে রেল। মালগাড়ি চালক সিগনাল না মানার জন্যই এই দুর্ঘটনা বলে দাবি রেলের। ইতিমধ্যেই অনিলের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু হয়েছে। তবে মৃত মালগাড়ির চালকের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে রেল কি নিজেদের দায় এড়াতে চাইছে? সেই প্রশ্নও ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে। এনিয়ে এবার সরব হলেন অনিলের পরিবার। একজন মৃত চালকের ওপরে যেভাবে দায় চাপানো হচ্ছে তা নিয়ে কার্যত বিস্মিত এবং বাকরুদ্ধ অনিলের পরিবার। এই অবস্থায় তারা আইনের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ‘মৃত্যুর মুখে! ছিটকে পড়লাম, ট্রেনে চাপতে ভয় লাগছে,’ HT Bangla-তে জানালেন কাঞ্চনজঙ্ঘার যাত্রী

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, মৃত চালকের শ্যালক অমিত কুমার বলেছেন, ‘এটি খুবই মর্মান্তিক এবং আমাদের কাছে তা প্রকাশ করার মতো কোনও শব্দ নেই। আমরা পরিবারের সকলেই শোকস্তব্ধ। রেল যেভাবে অনিলকে দায়ী করেছে তা জানার পরে আমরা বিস্মিত। পুরো দুর্ঘটনার জন্য কীভাবে তদন্ত না করেই একজনকে দায়ী করা হল? কেন তাঁর স্ত্রী-সন্তানরা এই অভিযোগ নিয়ে বাঁচবে? অমিত কুমার জানান, মৃতদেহের সৎকার সংক্রান্ত যাবতীয় আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পর তারা আইনের আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা  করবেন। 

উল্লেখ্য, অনিল কুমারের পরিবারে স্ত্রী রোশনি ছাড়াও রয়েছেন দুই ছেলে উজ্জ্বল (১৫) এবং আরুশ (৯) । পরিবারটি থাকে জলপাইগুড়ির ভক্তিনগরে একটি তিনতলা বিল্ডিংয়ের উপরের তলায়। সেখানে তারা ১১ বছর ধরে বসবাস করছেন।

প্রতিবেশীরা জানান, রোশনিকে প্রথমে তাঁর স্বামীর মৃত্যুর বিষয়টি জানানো হয়নি। তাঁকে বলা হয়েছিল যে তিনি এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার পরেই পরিবারের বাকি সেখানে গিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়িতে অনিলের মৃতদেহ নিয়ে আসেন। তারপরেই তিনি স্বামীর মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পেরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

পরিবারের অন্য এক সদস্য জানান, অনিল খুবই দায়িত্ববান ব্যক্তি ছিলেন। ২০ বছরের কর্মজীবনে কোনওদিন অবহেলার কোনও  অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠেনি। ফলে তাঁর মতো একজন দায়িত্বশীল মানুষ কীভাবে এমন ভুল করতে পারেন? সেই প্রশ্নই তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়েতে কর্মজীবন শুরু হয় অনিলের। অসমের বদরপুরে একজন সহকারী চালক হিসাবে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। পরে ২০১৩ সালে চালক হিসাবে তাঁর পদোন্নতি হয়।