Post poll violence: কাঁথিতে ছেলেকে না পেয়ে বিজেপি কর্মীর বাবাকে পিটিয়ে মারল তৃণমূলি দুষ্কৃতীরা

বাড়িতে ছেলেকে খুঁজতে এসে না পাওয়ায় বাবাকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। ছাড় পেলেন না বাড়ির মহিলারাও। মঙ্গলবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্রের অর্জুননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ধাঁইপুকুরিয়া গ্রামে গৌরহরি মাইতি (৬৩) নামে বৃদ্ধকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন – তিনিই রেলের বিরুদ্ধে পুলিশে FIR করেছেন, জানেনই না কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের যাত্রী

পড়তে থাকুন – দায়িত্ব বাড়ল শংকর ঘোষের, রইলেন না শুধু বিধায়ক

 

বিজেপির দাবি, লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকে ঘরছাড়া গৌরহরি ছেলে শশাঙ্ক মাইতি। পরিবারের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলা করেছে তৃণমূল। সেই মামলায় গ্রেফতারি এড়াতে ভোটের ফল বেরোতে ঘরছাড়া হয়েছেন তিনি। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ ২০ থেকে ৩০ জন সশস্ত্র তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী শশাঙ্ক মাইতির বাড়িতে চড়াও হয়। শশাঙ্কর ঠিকানা জানতে চেয়ে তাঁর মা, স্ত্রী ও বৌদির উপর আক্রমণ করে তারা। মারধর করা হয় মহিলাদের। টেনে পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয়। এমনকী শশাঙ্কবাবুর বৃদ্ধা মার কোমরে বন্দুক দিয়ে আঘাত করে বলে অভিযোদ। 

পরিবারের মহিলা সদস্যদের লাঞ্ছিত হতে দেখে বাড়ি থেকে বেরিয়া আসেন শশাঙ্ক মাইতির বৃদ্ধ বাবা গৌরহরি মাইতি। দুষ্কৃতিদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে এক দুষ্কৃতীরা তাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। যার ফলে মাটিতে পড়ে যান তিনি। এর পর তাঁকে দুষ্কৃতীরা বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। বাড়ির সামনেই পড়ে ছটফট করতে থাকেন গৌরহরিবাবু। পাড়ার লোকেরা বেরিয়ে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রাই তাঁকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী মুগবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়, কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে গৌরহরিবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

আরও পড়ুন – কোচবিহারে BJP কর্মীকে ২০ জন মিলে ধর্ষণ করেছে, FIR নিচ্ছে না পুলিশ: বিপ্লব দেব

নিহতের স্ত্রী জানিয়েছেন, তৃণমূলের ২০ – ৩০ জন দুষ্কৃতী এসে ছেলেকে খুঁজছিল। তখন আমরা সবে বাড়ি ফিরেছি। প্রথমে আমার কাপড় ছিঁড়ে দেয়। তার পর কোমরে বন্দুক দিয়ে মারে। এসব দেখে আমার স্বামী ঘর থেকে বেরিয়ে এলে তাকে পিটিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা।

বিজেপির দাবি, কাঁথিতে হারের আক্রোশে বিজেপি নেতা – কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল।