মঙ্গলবারের মধ্যে ঘরে ফেরাতে হবে সব ঘরছাড়াকে, বুধবার পর্যন্ত রাজ্যে থাকবে আধাসেনা

শাসক তৃণমূলের জমানায় গোটা দেশের কাছে আরও একটু মাথা হেঁট হল বাংলার। ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সময়সীমা আরও বাড়াল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের আপত্তি উড়িয়ে আগামী বুধবার পর্যন্ত উপদ্রুত এলাকাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে বলে শুক্রবার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর ভরসা করতে হচ্ছে আদালতকে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।

আরও পড়ুন – অবশেষে দক্ষিণবঙ্গের একাংশে ঢুকল বর্ষা, আপনার জেলায় কি ঢুকল মৌসুমী বায়ু? জেনে নিন এক ক্লিকে

পড়তে থাকুন – মন্দির অপবিত্র করার অভিযোগ, SDPO অফিসের গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

 

ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সময়সীমা। এদিন আদালতের কাছে সেই সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন জানান আক্রান্তদের আইনজীবীরা। পালটা রাজ্য সরকার দাবি করে, সরকারি কলেজ ও স্কুলগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা রয়েছেন। গরমের ছুটি শেষ হলেও সেই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পঠনপাঠন শুরু করা যাচ্ছে না। ফলে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সময়সীমা আর বৃদ্ধি করা ঠিক হবে না। তবে তাতে কোনও ফল হয়নি। বুধবার পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সময়সীমা বাড়িয়ে দিয়েছে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের বেঞ্চ।

এদিন আদালত জানিয়েছে, ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘরছাড়া প্রত্যেককে মঙ্গলবারের মধ্যে নিজেদের বাড়িতে পৌঁছে দিতে হবে। তাদের ঘর ও সম্পত্তির কী ক্ষতি হয়েছে তাও ছবি তুলে নথিভুক্ত করতে হবে প্রশাসনকে।

এদিন আদালতে রাজ্য জানিয়েছে, গত ৬ জুন থেকে ১৮ জুনের মধ্যে রাজ্য পুলিশের ডিজির ই-মেইল আইডিতে ভোট পরবর্তী হিংসার ৮৫৯টি অভিযোগ জমা পড়েছে। তার মধ্যে ২০৪টি ধর্তব্যযোগ্য অপরাধ পেয়েছে পুলিশ। সেগুলিতে FIR দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ১৭৫টি অভিযোগে ধর্তব্যযোগ্য কোনও অপরাধ মেলেনি।

আদালতের নির্দেশ নিয়ে বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘২০২১ সালে বারাসতে আদালতের নির্দেশে এক মুসলিম বিজেপি কর্মীকে পুলিশ ঘরে ফিরিয়ে দিয়ে এসেছিল। তার পর তাঁকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে মেরেছিল তৃণমূল কর্মীরা। তাই ঘরছাড়াদের শুধু ঘরে ফেরালেই হবে না। তাদের নিরাপত্তারও ব্যবস্থা করতে হবে।’

আরও পড়ুন – মানসিক নির্যাতন চালান, লোকো পাইলটদের মানুষ বলে মনে করেন না রেলের আধিকারিকরা, দাবি মালগাড়ির আহত সহকারী চালকের পরিবারের

রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেন বিরোধীদের দাবি মেনে আদালতকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপরে ভরসা রাখতে হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। তবে কি রাজ্য পুলিশের ওপর আস্থা হারিয়েছে আদালত? লাগাতার পক্ষপাতিত্ব ও আদালত অবমাননার দায়ে ভর্ৎসিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের বদলে কি কেন্দ্রীয় বাহিনীকেই বেশি দায়বদ্ধ বলে মনে করছে কলকাতা হাইকোর্ট?