Child theft rumour in Barasat: শিশু চুরির কোনও ঘটনা ঘটেনি, পুরোটাই গুজব, সচেতন করতে প্রচারে নামল বারাসত পুলিশ

শিশু চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয় উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে। সোশাল মাধ্যমে এক মহিলার ছবি দিয়ে শিশু চুরির অভিযোগ তোলা হয়। এরপর বেশ কয়েকজনকে ছেলেধরা সন্দেহে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পৌঁছলে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাঁধে স্থানীয়দের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বারাসত। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, জেলায় শিশু চুরির কোনও ঘটনা ঘটেনি। আসলে পুরোটাই গুজব ছড়ানো হয়েছে। কাজীপাড়ায় এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সেটি ছেলেধরার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই, খুনের ঘটনা বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই অবস্থায় অপপ্রচার বা গুজবে কান না দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানাল পুলিশ।

আরও পড়ুন: শিশুচুরির গুজবকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র বারাসতের কাজিপাড়া, আক্রান্ত পুলিশও

কিছুদিন আগেই বারাসাতের কাজীপাড়ায় এক শিশুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাতে স্থানীয়দের মধ্যে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে শিশুর কিডনি বার করে তার চোখ উপড়ে নেওয়া হয়েছে। আর সেটা ছেলে ধরার কাজ। অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি করার জন্যই এমন কাজ। তবে পুলিশ জানিয়েছে ময়নাতদন্তে সেরকম কিছু পাওয়া যায়নি। এটা একটা খুনের ঘটনা। তারপরেও গুজব কমেনি। সমাজ মাধ্যমে বিভিন্ন অপপ্রচার ছড়িয়ে পড়ে। সে ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।

বারাসতের মোল্লাপাড়ায় ছেলেধরা সন্দেহে এক ব্যক্তিকে মারধর করা হয়। পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। অন্যদিকে, বারাসতের মর্ডান স্কুলের কাছেও এক মহিলাকে এবং তার সঙ্গীকে ছেলেধরা সন্দেহে মারধর করা হয়। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পৌঁছয় পুলিশ। বারাসতের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, শিশু চুরির কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে কিছু মানুষ ফেসবুকে গুজব ছড়াচ্ছেন। তা শুনে অভিভাবকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। জানা যাচ্ছে, এদিন দুটি ঘটনায় মোট পাঁচ জনকে ছেড়ে ধরা সন্দেহে মারধর করা হয়। গত তিন দিন ধরে পুলিশের তরফে প্রচার চালানো হচ্ছে এই ধরনের গুজবে কান না দেওয়ার জন্য। এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য এলাকার ক্লাবগুলি সঙ্গে এবং জনপ্রতিনিধিদের প্রচারের কাজে নামানো হবে বলে জানা গিয়েছে।

উল্লেখ্য, সমাজ মাধ্যমে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়, যেখানে এক মহিলার ছবি দিয়ে অভিযোগ করা হয় বারাসতে প্রতিদিন শিশু চুরির ঘটনা ঘটছে। বুধবার সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়।এরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পৌঁছলে সেখানে ব্যাপক ধস্তাধস্তি শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তিতে কিছু পুলিশ কর্মীসহ বারাসত থানার দুটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। এরপর ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন বারাসত জেলা পুলিশের এসডিপিও সহ বারাসত থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। গুজব ছড়ানো এবং লাঠিচার্জের ভিডিয়ো করার জন্য পুলিশ বেশ কয়েকজনকে আটক করে।