Illegal construction: কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের জমিতে TMC-র পার্টি অফিস, ভেঙে ফেলার নির্দেশ আদালতের

কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের জমিতে বেআইনিভাবে গড়ে তোলা হয়েছিল দলীয় কার্যালয়। একটি হাসপাতালের কাছেই জমি দখল করে ওই কার্যালয় গড়ে তোলা হয়েছিল। সেই কার্যালয় অবিলম্বে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। জানা যাচ্ছে, ওই দলীয় কার্যালয়টি হল তৃণমূল কংগ্রেসের। সেটি অবস্থিত তারাতলা থানা এলাকার হেলেন কেলার সরণিতে। কত দিনের মধ্যে কার্যালয়টি ভেঙে ফেলতে হবে তার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন বিচারপতি। একইসঙ্গে প্রয়োজনে পুলিশকে অতিরিক্ত বাহিনীর ব্যবস্থাও করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন: বেআইনি নির্মাণ কীভাবে রুখতে হবে? সব পুরসভাকে পুস্তিকা পাঠাল পুর দফতর

মামলার বয়ান অনুযায়ী, ওই এলাকায় একটি হাসপাতাল রয়েছে। প্রতিদিন সেখানে প্রচুর মানুষ চিকিৎসার জন্য যাতায়াত করে থাকেন। হাসপাতাল সংলগ্ন জমি হল কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের। কিন্তু, অভিযোগ সেই জমির একাংশ জবরদখল করে সেখানে দলীয় কার্যালয় গড়ে তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই দলীয় কার্যালয়টি গড়ে উঠেছে হাসপাতালে আসার পথে। তার ফলে হাসপাতালে যেতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগী এবং রোগী পরিবারের সদস্যদের। কলকাতা হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলা করেছিল কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট।

তাদের বক্তব্য, হাসপাতলে যাওয়া আসার পথে বাধা একেবারেই কাম্য নয়। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলা ওঠে বিচারপতি অমৃত সিনহার এজলাসে। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের সেই জমিকে দখলমুক্ত করার নির্দেশ দেন। দলীয় কার্যালয় অবিলম্বে ভেঙে হাসপাতালে যাওয়া আসার রাস্তা খুলে দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। যদিও নির্দেশে কোন দলের কার্যালয় তা তিনি উল্লেখ করেননি।

আদালতের নির্দেশ, আগামী ২৬ জুনের মধ্যে এই দলীয় কার্যালয় ভেঙে ফেলতে হবে। সেক্ষেত্রে কার্যালয় ভাঙতে গিয়ে কোনও সমস্যা হলে বা বাধার সম্মুখীন হলে অতিরিক্ত বাহিনীর ব্যবস্থা করতে হবে তারাতলা থানার ওসিকে। বেআইনি নির্মাণ ভাঙার পর ২৬ জুন রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। তাতে জানাতে হবে নির্দেশ কার্যকর হয়েছে কিনা। আগামী ২৬ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি। প্রসঙ্গত, বেআইনি নির্মাণ নিয়ে বরাবরই কড়া মনোভাব দেখিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এর আগেও তিনি এখাধিক বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন।