Kanchanjungha Accident Update: সিগন্যাল ফেলের কথা জানানোই হয়নি উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলকে, নয়া তথ্য কাঞ্চনজঙ্ঘাকাণ্ডে

রঙ্গপানি এবং ছত্তরহাট স্টেশনের মধ্যকার লাইনে যে অটোমেটিক সিগন্যাল খারাপ হয়ে গিয়েছিল, তা নাকি উত্তরপূর্ব সীসান্ত রেলকে জানানোই হয়নি। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার জদিন ভোর ৫টা ৫০ মিনিট নাগাদ সেই অটোমেটিক সিগন্যাল খারাপ হয়েছিল। এর প্রায় তিনঘণ্টা পরে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ধটনাটি ঘটেছিল। তবে সেই সিগন্যাল খারাপ হওয়ার বিষয়ে নাকি এনজেপির কন্ট্রোলরুম থেকে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলকে অবগত করা হয়নি সেই তিন ঘণ্টার সময়ে। দুর্ঘটনার পরে ‘জয়েন্ট রিপোর্ট’ থেকে নাকি উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল জানতে পারে যে সেই সেকশনের সব অটোমেটিক সিগন্যাল খারাপ ছিল দুর্ঘটনার দিন ভোর থেকে। (আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদের জন্য সুখবর, নীরবেই জারি নয়া বিজ্ঞপ্তি, সই রাজ্যপালের)

আরও পড়ুন: এগিয়েছে বর্ষা, বাংলায় জায়গায় জায়গায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা, সঙ্গে হবে ঝড়

আরও পড়ুন: রাজ্যের মুখ্যসচিবের প্রশংসায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী! দিলেন ‘পরামর্শ’

এদিকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় জমা পড়েছে ‘যৌথ পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট’। একাধির রেল আধিকারিকরা নিজেদের পর্যবেক্ষণের কথা উল্লেখ করে এই রিপোর্ট তৈরি করেছেন। কমিশনার অফ রেল সেফটি এই নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত অবশ্য করছে। সেই রিপোর্ট এখনও জমা পড়েনি। তবে যৌথ রিপোর্ট অনুযায়ী, নিয়ম অমান্য করে অত্যধিক গতিতে মালগাড়িটি চলছিল বলেই এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে এই যৌথ রিপোর্টে একজন চিফ লোকো ইন্সপেক্টর অবশ্য ভিন্ন মত জানিয়েছেন। তাঁর মতে ভোর থেকে অটোমেটিক সিগন্যাল খারাপ হওয়ায় এই গোটা সেকশনে ‘অ্যাবসোলুট ব্লক’ করা উচিত ছিল। অর্থাৎ, একটা সময়ে এই লাইন দিয়ে একটি ট্রেনকেই পার করার অনুমতি দেওয়া উচিত ছিল। তবে ইঞ্জিনিয়ারিং, সিগন্যালিং, মেকানিকাল এবং ট্রাফিক দফতরের বাকি আধিকারিকরা এই দুর্ঘটনার দায় চাপিয়েছেন মালগাড়ির মৃত চালকের ঘাড়েই। (আরও পড়ুন: NET-এর পরে কি এবার বাতিল হবে NEET? প্রশ্নকাণ্ডে যা জানাল সুপ্রিম কোর্ট)

আরও পড়ুন: ম্যাজিক ফিগার ‘২৭.৫’,সরকারি কর্মীদের বেতন-DA নিয়ে CM-এর বড় সিদ্ধান্ত ক্যাবিনেটে 

আরও পড়ুন: দুর্নীতির ঘুঘুর বাসা সরকারি কর্মীদের মধ্যে, বৈঠকে চরম ক্ষুব্ধ হয়ে বিস্ফোরক মমতা

এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, টি/এ৯১২ সংখ্যক ‘পিএলসিটি’ ইস্যু করা হয়েছিল মালগাড়ির চালককে। রঙ্গপানির স্টেশন মাস্টার সেই কাগুজে সিগন্যাল দিয়েছিলেন। সেই টিকিটে বলা হয়েছিল, রঙ্গপানি রেল স্টেশন এবং ছত্তরহাট জংশনের মধ্যে যতগুলি অটোমেটিক সিগন্যাল আছে, সেগুলি পার করার অনুমতি দেওয়া হল। এদিকে নিয়ম অনুযায়ী, এই ধরনের কাগুজে সিগন্যাল ব্যবহার করা হলে প্রতি অটোমেটিক সিগন্যালে ১ মিনিট করে অপেক্ষা করতে হবে দিনের বেলায়। এরপর ১০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে এগোতে হবে। এমনকী রঙ্গাপানির স্টেশনমাস্টারের দেওয়া টি৩৬৯(৩বি) সংখ্যক অনুমতিপত্রে জানানো হয়েছিল, ট্রেনের গতিবেগ যাতে কোনও ভাবেই ১৫ কিলোমিটারের বেশি না হয়। এই আবহে লাল সিগন্যাল পার করার অনুমতি থাকলেও দুর্ঘটনার স্থল দিয়ে খুবই ধীর গতিতে মালগাড়িটি পার করার কথা ছিল। এই আবহে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হলেই বোঝা যাবে, কেন বিধি অমান্য করে এত দ্রুত গতিতে সেখান দিয়ে ছুটেছিল সেই ঘাতক মালগাড়িটি।