Kanchanjungha Express Accident Update: কাগুজে সিগন্যালেই কি কাঞ্চনজঙ্ঘা বিপত্তি ঘটেছিল? দুর্ঘটনা নিয়ে কী বলছে রেল…

কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার পরই রেল বোর্ডের শীর্ষ কর্তা দোষ চাপিয়েছিলেন মালগাড়ির চালকের ঘাড়ে। তবে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন রঙ্গাপানির স্টেশনমাস্টারের দেওয়া ‘কাগুজে সিগন্যাল’ নিয়ে। তবে সেই কাগুজে সিগন্যালে কোনও ভুল ছিল না বলে জানিয়ে দিলেন কাটিহারের ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার। এদিকে প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে ডিআরএম জানিয়েছেন, মালগাড়ির গতিবেগ বেশি থাকার জন্যই দুর্ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে ডিআরএম বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী যে ফর্মে মালগাড়িকে সিগন্যাল পার করার জন্য অনুমতি দেওয়া প্রয়োজন ছিল, তাই দেওয়া হয়েছিল। আলাদা আলাদা ফর্মের আলাদা আলাদা মানে রয়েছে। তদন্ত চলাকালীন এগুলো বলা সম্ভব নয়।’ (আরও পড়ুন: ১৯ দিন পর ঘুম ভাঙল বর্ষার, অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে দক্ষিণবঙ্গে কবে আসবে মৌসুমি বায়ু)

আরও পড়ুন: এল ‘ডিএ নোটিফিকেশন’, আচমকাই লক্ষ্মীলাভ বাংলার সরকারি কর্মীদের

রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং সিইও জয়া বর্মা দাবি করেছিলেন, মানুষের ভুলেই কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তিনি দাবি করেন, লাল সিগন্যাল অমান্য করে এগিয়ে গিয়েছিল মালগাড়িটি। তবে পরে জানা যায়, এই লাইনে অটোমেটিক সিগন্যাল গোলমাল করছিল বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই। এই আবহে পেপার লাইন ক্লিয়ার টিকিট বা ‘কাগুজে সিগন্যাল’-এর মাধ্যমে সেই লাইনে ট্রেন লাচল করছিল। আর কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ধাক্কা মারা সেই মালগাড়ির কাছে নাকি লাল সিগন্যাল অতিক্রম করার অনুমতি ছিল সেই পেপল লাইন ক্লিয়ার টিকিটে। তবে এর অর্থ, ধীরগতিতে লাল সিগন্যাল পেরিয়ে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছিলেন মালগাড়ির চালক। সেক্ষেত্রে দুর্ঘটনার দায় কার, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, টি/এ৯১২ সংখ্যক ‘পিএলসিটি’ ইস্যু করা হয়েছিল মালগাড়ির চালককে। রঙ্গপানির স্টেশন মাস্টার সেই কাগুজে সিগন্যাল দিয়েছিলেন। সেই টিকিটে বলা হয়েছিল, রঙ্গপানি রেল স্টেশন এবং ছত্তরহাট জংশনের মধ্যে যতগুলি অটোমেটিক সিগন্যাল আছে, সেগুলি পার করার অনুমতি দেওয়া হল। এদিকে নিয়ম অনুযায়ী, এই ধরনের কাগুজে সিগন্যাল ব্যবহার করা হলে প্রতি অটোমেটিক সিগন্যালে ১ মিনিট করে অপেক্ষা করতে হবে দিনের বেলায়। এরপর ১০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে এগোতে হবে। এমনকী রঙ্গাপানির স্টেশনমাস্টারের দেওয়া টি৩৬৯(৩বি) সংখ্যক অনুমতিপত্রে জানানো হয়েছিল, ট্রেনের গতিবেগ যাতে কোনও ভাবেই ১৫ কিলোমিটারের বেশি না হয়। এই আবহে লাল সিগন্যাল পার করার অনুমতি থাকলেও দুর্ঘটনার স্থল দিয়ে খুবই ধীর গতিতে মালগাড়িটি পার করার কথা ছিল। এই আবহে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হলেই বোঝা যাবে, কেন বিধি অমান্য করে এত দ্রুত গতিতে সেখান দিয়ে ছুটেছিল সেই ঘাতক মালগাড়িটি।