আরফা জাভেদ
ভিডিয়ো বানানোর জন্য় মানুষ কতদূর পর্যন্ত যেতে পারে তারই জ্বলন্ত প্রমাণ এল হাতের সামনে।
পুনের একটি বহুতলের ছাদের কার্নিশ থেকে একটি মেয়ে ঝুলছে। আর তাকে ধরে রয়েছেন এক যুবক।সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিয়ো। তবে এভাবে ভিডিয়ো করতে গিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এনিয়ে সমাজমাধ্য়মে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এই ঘটনাকে বোকামি বলে উল্লেখ করেছেন নেটিজেনরা। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠছে।
‘রিলসের কারণে সব। এটা বোকামির চরম। তারা নিশ্চয়ই নিরাপত্তা, যত্ন সম্পর্কে কখনও পড়েনি! ভেন্যু – এটি পুনের দারিপুল হওয়া উচিত!’ মারাঠি থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করার পরে এক্স-এ শেয়ার করা ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, ভবনের প্রান্তে উপুড় হয়ে শুয়ে আছে এক তরুণ। ভিডিওতে দেখা যায়, মেয়েটি বিল্ডিং থেকে নেমে আসছে এবং ছেলেটির কব্জি ধরে রয়েছে, যা ভিডিওতে ‘গ্রিপ স্ট্রেংথ চেক’ বলে মনে করা হচ্ছে। ভিডিওতে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন মানুষ – সম্ভবত তাদের বন্ধুরা – স্টান্টের বিভিন্ন কোণ পেতে তাদের স্মার্টফোনে স্টান্টটি রেকর্ড করছে। কোনওদিন এই ধরনের ভিডিয়ো করা উচিত নয়।
ভিডিওটি দেখুন এখানে:
১৯ জুন ভিডিওটি শেয়ার করার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সাড়া ফেলেছে ভিডিওটি। অনেকে ভিডিওতে কমেন্টও ফেলেছেন।
এই ভিডিওটি দেখে নেটিজেনরা কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন:
এক ব্যক্তি পুনে পুলিশকে ট্যাগ করে কিশোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন: ‘পুনে পুলিশ, দয়া করে ব্যবস্থা নিন, আপনাকে ধন্যবাদ!”
রিল বানাতে গিয়ে প্রাণহানির একাধিকবার খবর প্রকাশের পরও এই দায়িত্বহীনতা বন্ধ না হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এটি এমন একটি মনোভাব যা অনুগামীদের পাওয়ার আনন্দের জন্য পরিবারকে আজীবন কষ্ট দেবে!’ লিখেছেন অপর এক ব্যক্তি।
তৃতীয়জন বলেন, ‘ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
‘উল্লিখিত ফুটেজটি নোট করে, যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত,’ চতুর্থ এক ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন।
এদিকে অত উঁচু ছাদ থেকে কোনওভাবে হাত ফসকে গেলে বিপজ্জনক কান্ড হতে পারে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এভাবে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ভিডিয়ো বানাতে গিয়েছেন তারা। এনিয়ে ইতিমধ্য়েই নেট দুনিয়ায় নানা প্রশ্ন উঠছে। কেন এভাবে তারা ভিডিয়ো বানালেন সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই ভিডিয়ো দেখে শিউরে উঠছেন অনেকেই। এই ঘটনার জেরে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।