WB Recruitment Scam: রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ল কলা, আঁখ, ক্যাপসিকাম, সর্ষের নাম

 

একের পর এক তৃণমূলের নেতা – মন্ত্রী – বিধায়কের পর এবার নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ল কলা, আঁখ, ক্যাপসিকাম, সর্ষের মতো একাধিক ফসল। আদালতে ইডির দেওয়া চার্জশিটে অন্তত তেমনই দাবি করা হয়েছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া প্রসন্ন রায় জানিয়েছেন এই সব ফসল চাষ করেই তিনি ২৬ কোটি টাকা উপার্জন করেছেন। আদালতকে ইডি জানিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করতে নিজেকে চাষি সাজিয়েছেন প্রসন্ন রায়।

আরও পড়ুন – রাজভবনের বদলে মমতা বা অভিষেকের বাড়ির সামনে ধরনার প্রস্তাব দিতে পারেন শুভেন্দু

পড়তে থাকুন – মন্দির অপবিত্র করার অভিযোগ, SDPO অফিসের গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ২০২২ সালের অগাস্টে প্রসন্ন রায়কে গ্রেফতার করেছিল ইডি। এর পর তার নামে প্রায় ১০০টি সংস্থার সন্ধান পাওয়া যায়। প্রতিটি সংস্থার নামে প্রচুর জমি কিনেছিলেন প্রসন্ন। এত টাকার মালিক তিনি কী করে হলেন, সেই প্রশ্নের উত্তরে প্রসন্ন জানিয়েছেন, জমিতে চাষ করে তিনি এই টাকা উপার্জন করেছেন। কিন্তু ইডির দাবি ওই সব জমিতে কস্মিনকালে কোনও দিন চাষ হয়নি। আর হলেও তার থেকে এই বিপুল টাকা উপার্জন সম্ভব নয়। প্রসন্ন রায় নিজেকে চাষি বলে দাবি করে নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করেছেন।

আরও পড়ুন – মানসিক নির্যাতন চালান, লোকো পাইলটদের মানুষ বলে মনে করেন না রেলের আধিকারিকরা, দাবি মালগাড়ির আহত সহকারী চালকের পরিবারের

শুধু তাই নয়, প্রসন্ন রায়ের ২ স্ত্রীরসহ অন্যান্য আত্মীয়দের নামে ব্যাঙ্কে ২৫০টির বেশি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এই অ্যাকাউন্টগুলি দিয়ে প্রায় ৭৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। প্রসন্ন রায়ের স্ত্রীদের কোনও আয় না থাকলেও তাদের অ্যাকাউন্ট দিয়ে ২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। আর্বান ল্যান্ড সিলিং আইনের হাত থেকে বাঁচতেই প্রসন্ন একের পর এক সংস্থা খুলেছিল বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। প্রসন্ন যে কোনও দিন চাষবাস করেননি তা জেরায় স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁর সংস্থার কর্মীরা।