রোমানিয়াকে হারিয়ে নকআউটের দৌড়ে ফিরলো বেলজিয়াম

চোখের পলকে গোল করে ফেললো বেলজিয়াম। ম্যাচের শেষ দিকে রোমানিয়াকে আরও একটি গোল দিলো তারা। তাতে জয়ে ফিরেছে স্লোভাকিয়ার কাছে হার দিয়ে ইউরো শুরু করা দলটি। ২-০ গোলে হারিয়ে নকআউটের দৌড়ে যোগ দিলো বেলজিয়ানরা।

বেলজিয়ামের এই জয়ে ‘ই’ গ্রুপের লড়াই আরও উন্মুক্ত হয়ে গেলো। চার দলেরই সমান তিনটি করে পয়েন্ট। আর এক ম্যাচ হাতে রয়েছে। শেষ ম্যাচ জিতে শেষ ষোলোতে ওঠার সুযোগ সব দলের। 

ইউক্রেনকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ইউরো শুরু করা রোমানিয়া ম্যাচটি হারলেও গোলব্যবধানে এগিয়ে থেকে গ্রুপের শীর্ষে। তারা শেষ ম্যাচ খেলবে স্লোভাকিয়ার সঙ্গে। দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নেওয়া বেলজিয়ামের পরের প্রতিপক্ষ ইউক্রেন।

কোলনে স্টেডিয়ামে বেলজিয়াম এগিয়ে যায় ৭৩ সেকেন্ডে। বক্সের মধ্যে রোমানিয়ান ডিফেন্ডারদের চাপের মুখে সামনের দিকে বল বাড়ান রোমেলু লুকাকু। বক্সের প্রান্ত থেকে উঁচু শটে জাল কাঁপান ইউরি তিয়েলেমান্স। কোনও বড় টুর্নামেন্টে বেলজিয়ামের দ্রুততম গোলের কীর্তি গড়েন তিনি। ইউরোতে যা তৃতীয় দ্রুততম গোল।

এরপর লুকাকু ও কেভিন ডি ব্রুইনার মুহুর্মুহু আক্রমণ ঠেকিয়ে বেলজিয়ামকে হতাশ করতে থাকেন রোমানিয়া গোলকিপার ফ্লোরিন নিতা। লুকাকু ৬৪তম মিনিটে গোল করে উদযাপনে মাতেন। কিন্তু তাকে আফসোসে পোড়ায় রেফারির অফসাইডের বাঁশি। ভিএআরে দেখা গেছে, গোল করার সময় রোমানিয়ার শেষ খেলোয়াড়ের চেয়ে তার কাঁধ একটু সামনের দিকে ছিল। এনিয়ে দুই ম্যাচে তৃতীয়বার লুকাকুর গোল বাতিল হলো। স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে তিনি দুটি গোল করলেও ভিএআরে একবার অফসাইডে, অন্যটি হ্যান্ডবলে বাতিল হয়েছিল।

শেষ পর্যন্ত রোমানিয়ার জালে দ্বিতীয়বার বল পাঠাতে সফল হয় বেলজিয়াম। ৭৯তম মিনিটে সতীর্থ কিপার কোয়েন কাস্তিলসের দূরপাল্লার কিকে ডি ব্রুইনা বক্সে ঢুকে ডান পা বাড়িয়ে বল ঠেলে দেন জালে। তাতে জয় সুনিশ্চিত হয় তাদের।