Adhir Ranjan Chowdhury: প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা অধীরের! এবার কোন পথে?

লোকসভা ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। এবার প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির পদও ছেড়ে দিলেন অধীর চৌধুরী। খবর সূত্রের। তবে তিনি নিজে এনিয়ে সরসারি কিছু জানাননি। তবে তিনি জানিয়েছেন যে তিনি অস্থায়ী সভাপতি। বহরমপুরের পাঁচবারের কংগ্রেস সাংসদ। সেই অধীর জমানায় কি এবার ইতি পড়তে চলেছে? এবার অধীরের রাজনৈতিক অবস্থান ঠিক কী হয় সেটাই দেখার। 

এদিকে সূত্রের খবর কিছুদিন আগেই তিনি হাই কমান্ডের কাছে তাঁর ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছিলেন। সেই ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়েছে বলেও খবর। কিন্তু কেন অধীর ইস্তফা দিলেন? তবে কি হাই কমান্ডের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার কারণেই সরে গেলেন অধীর? নাকি পরাজিত হওয়ার পরে ভেতর ভেতর ভেঙে যাচ্ছিলেন অধীর। তার জেরেই বাংলায় নুয়ে পড়া কংগ্রেসকে আর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় এটা বুঝেই কি সরে গেলেন অধীর? তবে কংগ্রেসের তরফে এনিয়ে নির্দিষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি। জি ২৪ ঘণ্টার প্রতিবেদন অনুসারেও বিষয়টি জানা গিয়েছে। 

এদিকে শুক্রবার কলকাতায় প্রদেশ কংগ্রেসে বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠক শেষে অধীর বলেছিলেন, আমি প্রদেশ কংগ্রেসের অস্থায়ী সভাপতি। মল্লিকার্জুন খাড়গে যেদিন থেকে সর্বভারতীয় সভাপতি হয়েছেন সেদিন থেকে তো দেশে আর কোনও রাজ্যে সভাপতি হয়নি। এবার যখন করবে তখন দেখতে পারবেন আপনারা। আমি তো অস্থায়ী সভাপতি। 

তবে কি দলের প্রতি অভিমানী অধীর? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূলের গ্রাস থেকে দলকে রক্ষা করতে চেষ্টার কোনও কসুর করেননি অধীর। কিন্তু সেই অধীরই এবার ক্যাপ্টেনের পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন বলে খবর। 

কার্যত অধীর জমানায় এবার ইতি পড়তে চলেছে বলে খবর। বাংলায় কংগ্রেসের অন্যতম বড় অবলম্বন ছিলেন অধীর। সংকটের দিনে দলের পতাকাটা ধরে রেখেছিলেন। দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তৃণমূলের কাছে মাথানত করেননি। কিন্তু আজ তিনি সংকটে। সভাপতি পদ ছাড়লেন অধীর। খবর সূত্রের।

এদিকে সম্প্রতি মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে তাঁর কিছুটা মতানৈক্য তৈরি হয়েছিল বলে খবর। তবে বিষয়টি বেশি দূর এগোয়নি। 

তবে এবার পরাজয়ের পরেও অধীর নিশানা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি জানিয়েছিলেন, মমতা দাঙ্গাবাজ। দাঙ্গা করে আমাকে হারানো হয়েছে। রামনবমী পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। তারপর দাঙ্গা করিয়ে ভোটের মেরুকরণ করানো হয়েছে। তথ্য় দিয়ে প্রমাণ দেব। দাঙ্গার কথা প্রকাশ্য়ে বলা বিধায়ক নিজেই স্বীকার করেছেন যে তিনি চারবার মুখ্য়মন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন। সেই সঙ্গেই তিনি মমতাকে নিশানা করে বলেন, সাহস থাকলে অস্বীকার করুন। সেই সঙ্গেই রাহুল গান্ধীকে লোকসভার বিরোধী দলনেতা করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। কারণ মোদীর বিরুদ্ধে রাহুল গান্ধীই যে বিকল্প সেটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। দাবি অধীর চৌধুরীর। এবার সেই অধীরই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়লেন বলে খবর।