Fake Call: ‘আমি অভিষেক বলছি!’ তৃণমূল নেতার কাছে এল ভুয়ো ফোন, গ্রেফতার ৩

একেবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নম্বর জাল করে ফোন করা হচ্ছিল তৃণমূল নেতাদের। এমনকী রায়গঞ্জ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের কাছেও এরকম একটি ফোন আসে। কিন্তু সেই ফোনের অপর প্রান্তের গলা শুনে কিছুটা সন্দেহ হয় তাঁর। তিনি গোটা বিষয়টি পুলিশকে জানান। এরপর পুলিশ এনিয়ে তদন্তে নামে। এরপর পুলিশ জানতে পারে একটি বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে গলা বদলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নাম করে ভুয়ো ফোন করা হচ্ছে। অসাধু উদ্দেশ্য় নিয়েই এসব করা হচ্ছে। এরপরই পুলিশ এনিয়ে খোঁজখবর করা শুরু করে। শেষ পর্যন্ত পুলিশ দুই রূপান্তরকামীর সন্ধান পায়। তারাই এই কাণ্ড ঘটাচ্ছিল বলে অভিযোগ। 

এরপর তদন্তে নেমে পুলিশ হুগলির পান্ডুয়া থেকে অপর এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। ধৃতের নাম অরিন্দম ঘোষ। সে ওই অভিযুক্তদের সফটওয়ার সরবরাহ করেছিল বলে অভিযোগ। তবে এই ঘটনায় আর কেউ যুক্ত কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। 

সূত্রের খবর, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নাম করেই ফোনটা করা হয়েছিল। কার্যত প্রতারণার বড় ছক ছিল তাদের। সেকারণেই অভিষেকের নাম করে ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু রায়গঞ্জ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হয়। এরপর তিনি পুলিশের কাছে গোটা বিষয়টি জানান। এরপর পুলিশ তদন্তে নামে। 

তদন্তে নেমে পুলিশ দিল্লি থেকে দুজনকে গ্রেফতার করে। তাদের মধ্যে একজন রূপান্তরকামী। তার নাম সোফিয়া চক্রবর্তী। অপর ধৃতের নাম অভিষেক চৌধুরী। এরপর পুলিশ খোঁজ করতে শুরু করে যে এর পেছনে আর কারা রয়েছে। এরপর বুধবার রাতে হুগলির পান্ডুয়া থেকে পুলিশ অপর এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তার বাড়ি হুগলি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই চক্রের সঙ্গে তারও যোগ রয়েছে। সে সফটওয়ার সরবরাহ করেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। 

ব্যাঙ্কশাল আদালতে ধৃতদের তোলা হয়েছিল। তাদের ২৬শে জুন পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি আইনজীবী জানান যে এই গোটা ঘটনার পেছনে একটা চক্র কাজ করছে। 

তবে ধৃতদের মূল উদ্দেশ্য কী ছিল, তারা কী ধরনের সফটওয়ার ব্যবহার করছিল সবটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সেই সঙ্গেই আর কোনও তৃণমূল নেতার কাছে এই ধরনের ভুয়ো ফোন গিয়েছে কি না সেটাও পুলিশ খোঁজ নিয়ে দেখছে। এই ধরনের ফোন থেকে সতর্ক হওয়ার জন্যও বলা হচ্ছে।