MEA on Pannun Murder Plot Case: পান্নুন হত্যার ছকে ধৃত নিখিলের বিচার চলছে USA-তে, মামলা নিয়ে বড় আপডেট দিল বিদেশ মন্ত্রক

ভারতীয় নাগরিক নিখিল গুপ্তাকে চেক প্রজাতন্ত্র থেকে প্রত্যর্পণ করে মার্কিন মুলুকে নিয়ে গিয়েছে নিউইয়র্ক পুলিশ। প্রথমবারের মতো তাঁকে আদালতে পেশ করা হলে নিজেকে ‘নির্দোষ’ হিসেবে দাবি করেন নিখিল। এরই মাঝে এবার জানা গেল, নিখিল গুপ্তা নাকি ভারতের কনস্যুলার অ্যাক্সেস পাওয়ার আবেদনই জানাননি আমেরিকায় পৌঁছে। এদিকে সংবাদসংস্থা রয়টার্সের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, নিখিল গুপ্তার পরিবার এই আইনি লড়াইতে কেন্দ্রীয় সরাকরের সহায়তা চান। এই আবহে নিখিল গুপ্তাকে নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। এর জবাবেই তিনি জানান, নিখিল ভারতের কনস্যুলার অ্যাক্সেসের দাবি জানাননি। তবে তিনি বলেন, ‘আমরা নিখিলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি এবং তাদের অনুরোধে কী করা যায় তা আমরা খতিয়ে দেখছি।’ (আরও পড়ুন: ৪ দফার বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবি কর্মীদের, অপরদিকে বেতন বাড়াতে কমিশন গঠন রাজ্যের)

আরও পড়ুন: নিজ্জরের দুঃখে সংসদে নীরবতা পালন, ‘খলিস্তানপ্রীতি’ নিয়ে কানাডাকে আয়না দেখাল ভারত

আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের ৩০০ কোটি ‘হাওয়া’ করল সরকার, অবশেষে বেতন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত CM-এর

উল্লেখ্য, মার্কিন নাগরিক খলিস্তানি নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ছক কষার অভিযোগে নিখিলকে গেফতার করা হয়েছিল চেক প্রজাতন্ত্রে। প্রায় একবছর পর চেক পুলিশ তাঁকে তুলে দিল মার্কিন বিচার বিভাগের কাছে। এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার পরে নিখিলকে আদালতে পেশ করা হয়েছিল পান্নুন হত্যার চেষ্টার মামলায়। সেই মামলায় নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন নিখিল।

প্রসঙ্গত, খলিস্তানি জঙ্গি গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ছকের মামলায় অভিুক্ত নিখিল। গত ২০২৩ সাল থেকেই চেক জেলে বন্দি ছিলেন তিনি। এই নিখিলের বিরুদ্ধে আমেরিকায় মামলা করা হয়েছে। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই আমেরিকা নিখিলকে তাদের দেশে নিয়ে গিয়ে বিচার সম্পন্ন করতে চেয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে ‘খুনের জন্য বরাত দেওয়ার’ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে আমেরিকার আদালতে। ভারত সরকারের এক এজেন্সির আধিকারিকের নির্দেশেই নাকি নিখিল এই কাজ করেন।

গত ২০২৩ সালের ৩০ জুন চেক প্রজাতন্ত্র থেকে নিখিলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। মার্কিন অ্যাটর্নি অফিসের তরফে দাবি করা হয়, খলিস্তানি জঙ্গিকে হত্যার জন্য ১ লাখ মার্কিন ডলারের রফা হয়েছিল। অগ্রিম বাবদ ‘আততায়ী’-কে ১৫ হাজার মার্কিন ডলার দেওয়া হয়। তবে সেই ‘আততায়ী’ আদতে মার্কিন প্রশাসনেরই ‘আন্ডার কভার এজেন্ট’ ছিল। এরপরই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয় মার্কিন প্রশাসন। পরে ওয়াশিংটনের অনুরোধে চেক প্রজাতন্ত্র গ্রেফতার করেছিল নিখিলকে। আর এবার নিখিলকে চেক প্রজাতন্ত্র থেকে নিজেদের দেশে নিয়ে গেল আমেরিকা। এরই সঙ্গে মার্কিন মুলুকে এই মামলার বিচার শুরু হল ১৭ জুন থেকে।

এদিকে কয়েক মাস আগে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, শিখস ফর জাস্টিস প্রধান গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে আমেরিকায় হত্যা করার ছক কষা হয়েছিল। তা নিয়ে ভারতকে সতর্ক করে আমেরিকা। ওয়াশিংটনের তরফ থেকে নাকি জানানো হয়, সেই হামলার ছকে দিল্লির যোগ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ওদিকে ওয়াশিংটন পোস্টের রিপোর্টে সম্প্রতি দাবি করা হয়েছে, বিক্রম যাদব নামে এক ‘র’ এজেন্ট নাকি পান্নুন হত্যার জন্যে একটি ‘হিট টিমকে’ টাকা দিয়েছিলেন। এমনকী রিপোর্টে এও দাবি করা হয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় নাকি অনুমোদন দিয়েছিলেন তৎকালীন ‘র’ প্রধান সমন্ত গোয়েল। এছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজি ডোভাল বিষয়টি জানতেন। তবে ওয়াশিংটন পোস্টের এই প্রতিবেদন খারিজ করে ভারত। এরই মাঝে নিখিলের বিরুদ্ধে মার্কিন আদালতে শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া।