আপনিও কি পোড়া জায়গায় বরফ বা মাজন ব্যবহার করেন? অজান্তেই ডেকে আনছেন না তো মারাত্মক বিপদ? জানুন চিকিৎসকের মত

রান্না করতে গিয়ে বা কোনও কারণে আগুনে কোনও কাজের সময় অথবা গরম জল ও তরল থেকে অসাবধানতায় শরীরের কোনও অংশ পুড়ে যেতে পারে। আর এই পুড়ে যাওয়ার ফলে অনেকেই ঘরোয়া টোটকা হিসেবে ক্ষতস্থানে বরফ বা দাঁত মাজার পেস্ট ব্যাবহার করেন। কারণ অনেকে মনে করেন এই পোড়া ক্ষতের উপর কোনও ঠান্ডা জিনিস প্রয়োগ করলে হয়তো ফোস্কা পড়বে না, পাশাপাশি জ্বালা যন্ত্রণা থেকেও দ্রুত মুক্তি পাওয়া যাবে। কিন্তু এ কাজ করা কি আদৌ ঠিক? এভাবে নিজের ক্ষতি হচ্ছে না তো? জেনে নিন চিকিৎসকের মতামত।

চিকিৎসকদের মতে, পুড়ে যাওয়া ক্ষতস্থান ঠান্ডা করা উচিত অবশ্যই। তবে পোড়া জায়গায় বরফ বা দাঁত মাজার পেস্ট কখনওই ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে হতে পারে নানা সমস্যা। এর জন্য কী কী সমস্যা হতে পারে সেই সমন্ধে দিল্লির এইমসের নিউরোলজিস্ট চিকিৎসক প্রিয়াঙ্কা শেরাওয়াতের জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: তরমুজ খেয়ে ফেলে দেন বীজ! এর গুণ জানলে অবাক হয়ে যাবেন, পেটের সমস্যা থেকে ব্লাড সুগার সব কিছুতেই দারুণ কার্যকরী

চিকিৎসক প্রিয়াঙ্কা শেরাওয়াত স্যোশাল মিডিয়ায় এই বিষয়ে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। তাঁর মতে, যখনই গরম কিছুতে পুড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটবে, তখন তার থেকে তৈরি হওয়া ক্ষত স্থানের উপর বরফ বা দাঁত মাজার পেস্ট ভুল করেও ব্যবহার করা যাবে না। কারণ বরফ লাগালে সেই স্থানে রক্ত ​​চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং পোড়া স্থানের ক্ষত দ্রুত নিরাময়ের পরিবর্তে তা ঠিক হতে বেশি সময় লেগে যায়।

আরও পড়ুন: সব তরকারিতেই ব্যবহার করেন ধনেপাতা! জানেন এটি রোজ খেলে কী হয়

এখন প্রশ্ন হল, তাহলে এই অবস্থায় প্রথমেই কী করা উচিত। চিকিৎসক প্রিয়াঙ্কার মতে, কল খুলে প্রবাহিত জলে নীচে প্রথমে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য ক্ষত যেমন হাত পুড়ে গেলে হাত রাখতে হবে। এতে সেখানে জমে থাকা ময়লা এবং ব্যাকটেরিয়া পরিষ্কার হয়ে যাবে। কমবে সংক্রমণের ঝুঁকিও। কারণ পোড়া স্থানে কোনও ভাবেই ইনফেকশন হতে দেওয়া যাবে না, যদি কোনও ভাবে ক্ষততে ইনফেকশন হয়ে যায় তাহলে পোড়া জায়গাটি দ্রুত সারবে না।

অনেকেই পোড়া ক্ষততে ঘি বা তেল ব্যবহার করেন। এটিও ব্যবহার করা উচিত নয়। জল ব্যবহারের পর যদি হাতের কাছে কোনও বার্ন-ক্রিম থাকে তাহলে তা ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে সেই ক্রিমটি যেন কোনও চিকিৎসক নির্ধারণ করে দেন। তবে এই ধরনের মলম না থাকলে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। পাশাপাশি এরকম ঘটনার পর তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।