পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসার নথি দেখিয়ে হিন্দু সেজে গুজরাতে গ্রেফতার বাংলাদেশি মুসলিম যুবক

পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসা থেকে দেওয়া ভুয়ো শংসাপত্র দেখিয়ে হিন্দু নাম ব্যবহারের অভিযোগে এক বাংলাদেশি মুসলিম যুবককে গ্রেফতার করল সুরাত পুলিশ। রবিবার একথা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন গুজরাতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর হর্ষ সাঙ্ঘভি। গুজরাতের মন্ত্রীর পোস্টকে উদ্ধৃত করে এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও উত্তরপূর্ব বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারও।

আরও পড়ুন – পিস্তল নিয়ে স্কুলে এল পড়ুয়া, তৃণমূল নেতার ‘ভাইপো’র কাণ্ডে তোলপাড়

পড়তে থাকুন – ইংরেজবাজারে জঞ্জাল কর, TMC-র খারাপ ফলের জন্যই এমন সিদ্ধান্ত, অভিযোগ বিজেপির

 

সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে গুজরাতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভি লিখেছেন, ‘গুজরাত পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ বড় ঘটনার পর্দাফাঁস করেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার পোষিত একটি মাদ্রাসা থেকে দেওয়া ভুয়ো শংসাপত্রের সাহায্যে এক বাংলাদেশি মুসলিম যুবক হিন্দু নাম ধারণ করেছে। এটা নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। গত বাজেটে পশ্চিমবঙ্গ সরকার মাদ্রাসাগুলির জন্য ৫,৫৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।’

গুজরাত পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম হেমায়েত সরদার। তাঁর কাছ থেকে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র ও স্কুলের নথি উদ্ধার হয়েছে। ধৃত নিজেকে শুভ দাস বলে পরিচয় দিত। নদিয়ার চাকদার বাসিন্দা বলে দাবি করেছিল হেমায়েত সরদার। 

এই পোস্ট উদ্ধৃত করে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, ‘চিন্তার ব্যাপার: পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসাগুলিকে বাংলাদেশি মুসলিমদের হিন্দু নামের পরিচয়পত্র তৈরির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার মাদ্রাসাশিক্ষার জন্য ৫,৫৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করায় প্রশ্ন উঠছে, এই ষড়যন্ত্রে কি পশ্চিমবঙ্গ সরকার যুক্ত? দিদি কি বাংলাদেশিদের ব্যবহার করে জনবিন্যাস বদলে ফেলতে চান?

আরও পড়ুন – ভোটে পরাজিত হয়েই বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন বিজেপি MLA স্বপন মজুমদার, পাত্রী কে?

গত কয়েক দিন ধরে পশ্চিমবঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষা খাতে রাজ্য সরকারের বিপুল বাজেট বরাদ্দ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিজেপি। শনিবার এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। তিনি বলেন, ‘মুসলিদের প্রকৃত উন্নয়নের বদলে তোষণ করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুসলিম দুষ্কৃতীদের হাতে ঘুর পথে টাকা তুলে দিয়ে ভোট কিনে ক্ষমতায় থাকতে চান তিনি।’

হর্ষ সাঙ্ঘভির পোস্ট উল্লেখ করে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে লিখেছেন, ‘জাল শংসাপত্রেরটি ২০১০ সালে জারি করা। তৃণমূল সেখানে ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসেছে।’