GTA: বকেয়া টাকা মেটাচ্ছে না রাজ্য সরকার, থমকে যাচ্ছে উন্নয়ন, নবান্নকে চিঠি দিল জিটিএ

এতদিন কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে নানাভাবে সরব হয়েছে রাজ্যসরকার। আর এবার রাজ্যের মধ্য়েই থাকা জিটিএ নবান্নের উপর চাপ তৈরি করা শুরু করল যে রাজ্যের কাছে যে টাকা তাদের বকেয়া রয়েছে তা দ্রুত ছাড়তে হবে। না হলে পাহাড়ের একাধিক উন্নয়ন কর্মসূচি কার্যত থমকে যাচ্ছে। এদিকে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কার্যত বকেয়া টাকা পাওয়ার জন্য় নানাভাবে চাপ দেওয়া শুরু করেছে বলে খবর। 

জিটিএর তরফে দাবি করা হচ্ছে যে রাজ্য সরকার তাদের পাওনা সঠিক সময় না দেওয়ার জন্য় একাধিক বিল বকেয়া থেকে গিয়েছে। এদিকে এনিয়ে ঠিকাদাররা তাগাদা করছেন। কিন্তু সেই টাকা মেটানো যাচ্ছে না। এমনকী রাজ্যের বাজেটে পাহাড়ের জন্য যে বরাদ্দের কথা বলা হয়েছিল তা পুরোপুরি মেলেনি বলেও তাদের দাবি। এর জেরে সমস্যা ক্রমশই বাড়ছে। 

তবে সূত্রের খবর, জিটিএ চেয়ারম্যান অনীত থাপার সঙ্গে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী সম্পর্ক যথেষ্ট নিবিড়। সেকারণে এই বকেয়া পাওনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকার  ও জিটিএর মধ্য়ে বড় কোনও সংঘাত হওয়ার সম্ভাবনা এখনই নেই। তবে টাকা সঠিক সময় না পেলে পাহাড়ের নানা উন্নয়নের কাজ করার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। সেকারণে দ্রুত সমস্যা মেটানোর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। 

বকেয়া আদায়ের জন্য় ইতিমধ্য়েই জিটিএ রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। সেই সঙ্গেই মুখ্য়মন্ত্রীর কাছেও গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে এবার রাজ্য সরকারের তরফে কবে এই বকেয়া টাকা পরিশোধ করা হয় সেটাই দেখার। 

তবে কেন্দ্রের তরফে যেভাবে বলা হয় যে রাজ্য় সঠিক সময়ে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট না দেওয়ার জন্য় বকেয়া টাকা পরিশোধ করা যায় না। পাহাড়ের ক্ষেত্রেও অনেকটা তেমন অভিযোগও রয়েছে। খবর সূত্রের। 

একেবারে বছর ধরে ধরে কোন আর্থিক বছরে কত টাকা বকেয়া রয়েছে তা উল্লেখ করা হয়েছে। জিটিএর হিসাব অনুসারে নবান্নের কাছে তাদের বকেয়ার পরিমাণ ২৩৮ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। সেই সঙ্গেই জিটিএর তরফে বলা হয়েছে অতিরিক্ত কোনও টাকা তারা চাইছে না। রাজ্য সরকার যে টাকা বরাদ্দ করেছিল সেই টাকাটা তারা চাইছে। কারণ সেই টাকা না পেলে উন্নয়ন খাতে বিরাট সমস্যা হয়ে যাবে। কারণ এই টাকার উপর ভরসা করেই পাহাড়ে একাধিক উন্নয়ন পরিকল্পনা নিতে হয়। কিন্তু টাকা যদি না মেলে তাহলে থমকে যেতে পারে উন্নয়ন।