International Widows Day: যাদের জীবনে হারিয়েছে সব রং, তাদের পাশে থাকতেই পালন করা হয় বিধবা দিবস

অতীত সময়ে কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে সমাজ বিধবাদের জীবন নরক করে তুলত। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জীবনের নতুন মানে খুঁজে পাওয়ার আরও একটি সুযোগ পান বিধবারা। তবুও আজও যেন কোথাও একটি রঙহীন জীবনের যুদ্ধে লড়াই করতে করতে হাঁপিয়ে ওঠেন বিধবা নারীরা। সেই অসহায় এবং নিপীড়িত বিধবাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়েই প্রতিবছর পালন করা হয় আন্তর্জাতিক বিধবা দিবস।

কবে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক বিধবা দিবস? 

 

প্রতিবছর ২৩ জুন পালন করা হয় আন্তর্জাতিক বিধবা দিবস। চলতি বছর রবিবার পড়েছে এই দিনটি।

কেন পালন করা হয় আন্তর্জাতিক বিধবা দিবস? 

 

বিশ্বব্যাপী বিধবাদের দুর্দশা সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যেই পালন করা হয় এই দিনটি।

(আরো পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেয়ার করলেন শশাঙ্কাসনের বিশেষ ভিডিয়ো, সেখানে ‘অন্য’ মোদী করছেন যোগাসন)

আন্তর্জাতিক বিধবা দিবসের ইতিহাস 

 

২০১১ সালে জাতি সংঘ কর্তৃক প্রথম স্বীকৃত এবং প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই দিনটি। বিশ্বব্যাপী বিধবাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং আইনি ভাবে পাশে থাকার জন্য শুরু হয়েছিল এই দিনটি উদযাপন।

২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক বিধবা দিবসের থিম 

 

এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক বিধবা দিবসের থিম।

আন্তর্জাতিক বিধবা দিবসের তাৎপর্য 

 

২০১১ সালের পর থেকে বার্ষিক ভাবে এই দিনটি পালন করা হয়। এই দিনে বিধবাদের মুখোমুখি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান করা হয়। বিধবা নারীরা, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে বহু সমস্যার সম্মুখীন হন। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে আর্থিক, সামাজিক এবং নৈতিকভাবে বঞ্চনার শিকার হন তারা। অনেকাংশে স্বামীর মৃত্যুর পর অর্থের অভাবে আত্মহত্যা করতে হয় তাদের। এই সমস্যা থেকে বিধবাদের উদ্ধার করাই হলো আন্তর্জাতিক বিধবা দিবসের তাৎপর্য।

(আরো পড়ুন: অবসাদে ভুগছেন? এই যোগাসনগুলি করুন, ফল পাবেন ম্যাজিকের মতো)

আন্তর্জাতিক বিধবা দিবস কীভাবে উদযাপন করবেন আপনি 

 

এই দিন বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে একত্রিত হয়ে আপনি গ্রামেগঞ্জে ঘুরে বিধবাদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। যে সমস্ত পরিবারে স্বামীর মৃত্যুর পর বিধবাদের এক ঘরে করে দেওয়া হয়েছে, তাদের সমস্যার সমাধান আইনিভাবে করতে পারেন আপনি। এছাড়া শিক্ষার আলোয় এনে বিধবাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করতে পারেন আপনি। একজন বিধবা যদি আর্থিক বা শিক্ষার দিক থেকে পিছিয়ে থাকেন, তাহলে তা একটি দেশের জন্য ভবিষ্যতে নেতিবাচক ফলাফল দেবে।