স্কুলের ব্যাগে সাধারণত বইপত্র, টিফিন, কিংবা জলের বোতল থাকার কথা। কিন্তু স্কুলের ব্যাগে রিভালবার থাকার কথা শুনেছেন কখনও। অবাক করা সেই ঘটনা হল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায়। ওই স্কুলের দুই ছাত্র স্কুলের ব্যাগে একটি দেশি রিভালবার নিয়ে আসে। মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা ২ ব্লকের আন্দুলবেড়িয়া হাইস্কুলের এই ঘটনায় কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ওই দুই ছাত্রের মধ্যে একজনের কাকা আবার স্থানীয় পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান।
অভিযোগ উঠছে স্কুলের পাহারাদারের সঙ্গে তাদের কোনওকারণে বিরোধ হয়েছিল। তার জেরেই তারা বন্দুক নিয়ে এসে তাকে ভয় দেখাতে চেয়েছিল। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে ওই স্কুল ছাত্র। তার দাবি, স্কুলের গেটম্যানের সঙ্গে আমাদের কোনও বচসা হয়নি। কোনও ঝামেলা নেই তার সঙ্গে। এই বন্দুকটা রাস্তার পাশে পড়েছিল। সেটা কুড়িয়ে নিয়ে এসেছিলাম। গেটম্যানকে মারতে চাইনি।
অপর এক ছাত্র বলেন, আসার পথে স্কুলের ধারে পড়েছিল। সেটাই নিয়ে এসেছিলাম। ছেলেপুলেকে দেখালাম। এই প্রথম স্কুলে এলাম। গেটম্যানের সঙ্গে আমাদের কোনও ঝামেলা নেই।
এদিকে গোটা ঘটনায় স্কুলের শিক্ষকদের মধ্যে বেজায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অভিভাবক ও পড়ুয়াদের মধ্য়েও এনিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে পুলিশ আপাতত ওই পড়ুয়াদের জেরা করছে। তারা এই ধরনের পিস্তল কোথায় পেয়েছিল সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে এভাবে স্কুল ছাত্রদের কাছে পিস্তল চলে এলে তার পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে। সেকারণে পুলিশ অত্যন্ত সতর্কভাবে বিষয়টি দেখছে।
এদিকে ওই দুই ছাত্রের দাবি, এই পিস্তলটা তারা রাস্তার ধারে কুড়িয়ে পেয়েছে। এখানেই প্রশ্ন রাস্তার ধারে পিস্তল এল কোথা থেকে?
তবে পিস্তল পাওয়ার পরেও তারা কেন স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে এটা জমা দিল না সেই প্রশ্ন উঠছে। সব মিলিয়ে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে।
ওই স্কুল ছাত্র আদৌ সত্যি বলছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে সবে ভোট মিটেছে। তার জেরে এই বন্দুক মিলেছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে বাংলার স্কুল ছাত্রের ব্যাগ থেকে বন্দুক উদ্ধারের ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ও উদ্বেগের বিষয়। আপাতত পুলিশ ওই দুই ছাত্রকে জেরা করা আসল বিষয়টি জানার চেষ্টা করছে। সেই সঙ্গেই বাস্তবে তারা গেটম্যানকে ভয় দেখানোর জন্য পিস্তল এনেছিল কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।