BJP on Nabanna Episode: মুখ্যমন্ত্রী এটা অন্তত ভালো কাজ করেছেন, ‘নবান্ন- ধমকে’ খুশি বিজেপি নেতাও!

সুজিত বসু, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, গৌতম দেব একেবারে নাম করে তোপ দাগলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। একের পর এক পুরসভার নাম ধরে শুরু হল ধমক। এমনকী ডিএম, এসপিদের নাম না করলেও তাঁদেরকেও নিশানা করলেন মমতা। 

এতদিন অবৈধভাবে জায়গা দখলের অভিযোগ করতেন বিরোধীরা। এবার খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এনিয়ে অভিযোগ তুললেন। জায়গা দখল নিয়ে এতদিন অভিযোগ করতেন বিরোধীরা। এবার এনিয়ে নিশানা করলেন খোদ মমতা। তিনি বলেন, কোথাও জবরদখল হলে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না? অনেকে আছেন এর মধ্যে। নাম বলে কাউকে অস্বস্তিতে ফেলতে চাই না। তবে একটা গ্রুপ তৈরি হয়েছে। খালি জায়গা দেখলেই তাঁরা লোক বসাচ্ছেন বাংলার আইডেন্টিটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ সবে রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।

কিন্তু এই যে ধরে ধরে একের পর এক ধমক দিলেন মমতা এনিয়ে বিজেপি কি বলছে? 

এনিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, বিধানসভায় দাঁড়িয়ে নয়ানজুলি বসিয়ে দেওয়া নিয়ে সব্যসাচী দত্ত সরাসরি সুজিত বসুর বিরুদ্ধে আঙুল তোলেন। এটা সরকারি রেকর্ড। আমিও বলেছিলাম নয়ানজুলিতে মৃতাঞ্জলি দেওয়ার ব্যবস্থাটা কবে বন্ধ হবে? তার উত্তরে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় বলেছিলেন  আমাদের ঘরের ঝামেলাটা আমরা মিটিয়ে নেব। আইন ভাঙা হবে না শ্রীভূমিতে দেখুন কীভাবে নয়ানজুলি বোজানো হচ্ছে। সরকারি জমি দখল, রাস্তা দখল, পুকুর বোজানো পর্যন্ত হচ্ছে। আমি তো বলছি মুখ্য়মন্ত্রী এটা অন্তত ভালো কাজ করেছেন। জি ২৪ ঘণ্টার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে। 

তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর রুদ্র রূপ দেখে নেতা মন্ত্রীদের অনেকেই ঘাবড়ে যান। একাধিক নেতা মন্ত্রীর নাম করে তিনি ধমক দেন। তাঁর এই ধমক শোনার পরে এবার বাংলার তৃণমূল নেতারা  কতটা নিজেদের শুধরে নিতে পারেন সেটাই এখন দেখার। 

তবে মমতা এদিন বলেন, কোথাও ম্যানহোলের ঢাকনা খোলা থাকলে সেটাও খুলে নিয়ে বিক্রি করে দেন অনেকে। তার জন্য় একটা সিস্টেম কেন হচ্ছে না? কেন জল অপচয় হচ্ছে? …কেউ টাকা খেয়ে কেউ টাকা খাইয়ে এসব করাচ্ছেন। মমতার সাফ কথা, রাম শ্য়াম যদু মধু যেই হোন, আমিও যদি হই ছাড়বেন না। লোভ বেড়ে যাচ্ছে। লোভটাকে কমাতে হবে। সরকারি জমি দখল করে একের পর এক বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে। রাজ্য সরকার নতুন রাস্তা তৈরি করেছে। তার রক্ষণাবেক্ষণও হচ্ছে না। কেন এসব হবে? দেখার দায়িত্ব কেবল আমার?

এমনকী সুজিত বসুর নাম করে তিনি বলেন, রাজারহাটে সুজিত লোক বসাচ্ছে কম্পিটিশন করে।

মমতার সঙ্গে কেউ টাকা খাচ্ছে, কেউ টাকা খাওয়াচ্ছে। একেবারে ধরে ধরে অনিয়মের কথা উল্লেখ করলেন খোদ মুখ্য়মন্ত্রী। এমনকী টেন্ডার স্থানীয় স্তরে না করে কেন্দ্রীয়ভাবে হওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।